শেখ জাহান রনি, মাধবপুর : মাধবপুরে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠের পর মাঠজুড়ে সোনালি ধানে ভরে উঠেছে কৃষকের ফসলভূমি। এই সোনালি স্বপ্ন ঘরে তুলতে কৃষকরা যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদ বিন কাশেম।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাধবপুরে কৃষকরা যেন দ্রুত ধান কর্তন করতে পারে সেজন্য ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার’ দ্বারা ধান কাটার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কর্তন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি হারভেস্টার মালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভারও আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদ বিন কাশেম এবং উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব সরকার।
কৃষকরা জানান, সরকার কৃষকের সুবিধার্থে ভর্তুকি মূল্যে আধুনিক ধান কাটার মেশিন বিতরণ করলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা দেখা দেয়। অনেক সময় সময়মতো মেশিন না পাওয়ার কারণে ধান কর্তনে দেরি হয়, ফলে ফসলের ক্ষতি হয়। কিন্তু এবার উপজেলা প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকার কারণে তারা দ্রুত এবং সাশ্রয়ী উপায়ে ধান কাটতে পারবেন বলে আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব সরকার জানান, “এই মৌসুমে মাধবপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে এবং ৪৫ হাজার ৭৩৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানান, ধান সংগ্রহ কার্যক্রম আজ থেকেই শুরু হয়েছে এবং আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। কৃষকরা মনপ্রতি ১,৪৪০ টাকা দরে সরকারিভাবে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদ বিন কাশেম বলেন, “আমরা কৃষকদের পাশে আছি। কৃষক যেন তাদের কষ্টার্জিত ধান দ্রুত এবং নিরাপদে ঘরে তুলতে পারে, সে লক্ষ্যে আজকের এই সভা। কম্বাইন্ড হারভেস্টার মালিকদের সাথে সমন্বয় করে ধান কর্তনে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।”
মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। কারণ এই সময়টাতে ধান কাটা নিয়ে কৃষকদের মধ্যে যে উদ্বেগ কাজ করতো, তা অনেকটাই কেটে গেছে।
Leave a Reply