,

বানিয়াচংয়ের বড়ইউরি ইউনিয়নে কে কে পাচ্ছেন দলীয় প্রতীক ? ডজন খানেক প্রার্থী মাঠে

মোঃ আকিকুর রহমান সেলিম ॥ ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী ৩য় ধাপে ৩ এপ্রিল বানিয়াচং উপজেলার ১৪টি ইউপিতে ও ৬ষ্ট ধাপে ৪ জুন বানিয়াচং সদর দক্ষিন পশ্চিম ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরজমিনে দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে ৭নং বড়উউরি ইউনিয়নে প্রত্যেকদলের নেতা কর্মীরা জোরে শোরে মাঠে নেমেছেন। এমনকি হাইকমান্ড থেকে শুরু করে জেলা উপজেলার নেতা কর্মীদের সাথে দলীয় মনোনয়ন পেতে তাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। শেষ পর্যন্ত কে পাবে নৌকা ও ধানের শীষ সেই অপেক্ষাই রয়েছেন নেতাকর্মীরা। প্রত্যেক দলের নেতাকর্মীরা যারযার অবস্থান নিয়ে গ্রামেগঞ্জে হাট বাজারে চায়ের স্টলে চলছে প্রার্থীদের কৌশল বিনিময় এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠান সামাজিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে প্রত্যেক দলের নেতা কর্মীরা যার যার অবস্থান তোলে ধরার চেষ্টা করছেন। এমনকি গোপন বৈঠক করেও প্রত্যেক দলের নেতাকর্মীরা একক প্রার্থী দেওয়ার জন্য ও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক প্রার্থী ভেটোরদের সাথে কৌশল বিনিময় ও সহযোগীতা চেয়ে জোর তদবির চালাচ্ছেন। আবার অনেক প্রার্থীরা শোনা যাচ্ছে নির্বাচনী খাতে বড় ধরনের অর্থের বাজেট এর পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছেন। বড়ইউড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে এবং দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির চালাচ্ছেন, তারা হল: হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সহ-কোষাধ্যক্ষ ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের সহ-সভাপতি এড. এমদাদুল হক শাহীন ও তার বড় ভাই ইউপি বিএনপির সভাপতি ছবুর মিয়া, ইউপি বিএনপির সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান মামুন, বিগত নির্বাচনে যিনি সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা উলামাদলের সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ আবু মুছা, উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক আতিকুর রহমান আঙ্গুর, ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইয়াওর মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, আওয়ামীলীগ নেতা সালেহ আহমদ, বিএনপি নেতা সৈয়দ আবু আহমদ খসরু, বিএনপি নেতা মোস্তফা আল হাদি ও ইউপি যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান মিয়ার নাম শোনা যাচ্ছে। প্রত্যেক দলের নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয় ভাবে তাদের নির্বাচনি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত কে পাবে দলীয় প্রতীক সেই অপেক্ষায় রয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। তবে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। অনেক প্রার্থীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, দলীয় প্রতীক থেকে বঞ্চিত হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে অংশ গ্রহনের চিন্তাধারা করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর