,

বাহুবলের আলোচিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলের শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ইতিমধ্যে এ ঘটনার পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য মাউশির কলেজ শাখার উপ-পরিচালক মো: মেজবাহ উদ্দিন সরকারকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষ অধিদপ্তর। গত ৬ ডিসেম্বর গঠন করা এই কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মাউশিতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির একজন কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে মাউশি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। ছাত্রী নির্যাতনের পর বিদ্যালয়ের ভূমিকা আপত্তিজনক হওয়ার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণ হলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকরিচ্যুত কিংবা এমপিও বাতিল এবং পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দেওয়া হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, উপজেলার দরিদ্র পরিবারের ওই ছাত্রীটি শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। পাশের গ্রামের সিদ্দিক আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম গত ১৯ জুলাই ঢাকায় ভাল চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ছাত্রীটিকে বাড়ী থেকে বের করে এনে যশপাল গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে জাহির হোসেন এবং আজগর আলীর ছেলে সামছুদ্দিন ওরফে সমশের উদ্দিনের হাতে তুলে দেন। ওইদিন রাতে উপজেলার একটি বাজারে ফার্নিচারের দোকানে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরদিন ছাত্রীটিকে অন্যত্র পাচার করার সময় স্থানীয় মিরপুর বাজারের পাহারাদার ছাত্রীটিকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা তাকে তার বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য ও ক্লাস-বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগদানের জন্য বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী অন্য কথা বলেন। তিনি বলেন, ধর্ষিতা ছাত্রী বিদ্যালয়ে গেলে তার প্রভাব অন্য ছাত্রীদের উপর পড়বে বলে তাকে বিদ্যালয় হতে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেয়ার জন্য পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেন। এসময় প্রধান শিক্ষক তাকে ছাড়পত্র নিয়ে অন্যস্কুলে ভর্তির পরামর্শ দেন। গত ৩ ডিসেম্বর তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রদান করেন। বিষয়টি তাৎক্ষনিক ইউএনও ধর্ষিতা ছাত্রীটিকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এবং পরদিন ৪ ডিসেম্বর তার বাড়ি থেকে তাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন এবং সে যাতে পরীক্ষা দিতে পারে তার ব্যবস্থা করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীকে শোকজ করেন। আর এখন আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করল মাউশি।


     এই বিভাগের আরো খবর