,

হবিগঞ্জ থেকে নিখোঁজ দুই শিশু উদ্ধার

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহর থেকে নিখোঁজের ৩ দিন পর দুই শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই দুই শিশুকে কেউ অপহরণ করেনি তারা স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়েছিল বলে পুলিশকে জানায়। মঙ্গলবার ভোরে হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই পার্থ রঞ্জন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কোর্ট স্টেশন পুলিশ ফাড়ির টিএসআই টিপু সুলতানসহ একদল পুলিশ সিলেট শাহজালাল (রহ) এর মাজার গেইট এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ নিয়ে আসেন। বেলা ১২টার দিকে এ নিয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে ওই দুই শিশুকে হাজির করা হয়। এ সময় তারা সাংবাদিকসহ পুলিশকে উপরোল্লিখিত তথ্য জানায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন নবী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার ওসি ইয়াছিনুল হকসহ কর্মকর্তাবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে ওই দুই শিশু জানায়, তাদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল সিলেট শাহজালাল (রহ) এর মাজার দেখবে। কিন্তু সেখানে যেতে না পারায় গত ১ জুলাই স্বেচ্ছায় ঘরে থাকা ট্রাঙ্ক থেকে ২১ হাজার টাকা নিয়ে সিলেট-বিরতীহিন বাসযোগে সিলেট যায়। মাজার এলাকায় কিছু সময় ঘুরাঘুরির পর রেল স্টেশনে গিয়ে ঘুমায়। ওই দিন বিকালে ৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি হাওয়াই মোবাইল ফোন ও একটি সিম কিনে যার নং-০১৭১২-২৮০৭৫৭ এবং চার্জার ফ্যান কিনে রিক্সাযোগে শাহজালাল (রহ) ও শাহপরান (রহ) এর মাজার ঘুরে দেখে। পরে রাতে রেল স্টেশনে ঘুমায়। ৩ জুলাই বাসযোগে নরসিংদী পাচদোনার ড্রিমল্যান্ড পার্কে যায়। সেখানে ঘুরাঘুরির পর পুনরায় বাসযোগে ভৈরব রেলস্টেশনে আসে। সেখান থেকে ট্রেনযোগে সিলেটে ফেরত আসে। পথিমধ্যে টিটি তাদের ধরলে ৩শ টাকা দিয়ে রেহাই পায়। এক পর্যায়ে তাদের টাকা শেষ হয়ে যায়। রাতে ট্রেনে অবস্থানের পর মঙ্গলবার ভোরে মাজার গেইট এলাকায় পুলিশ তাদের দেখতে পায় এবং আটক করে হবিগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে আসে। সংবাদ সম্মেলন শেষে দুই শিশুকে তাদের পিতা আব্দুস শহীদ খানের জিম্মায় দেয়া হয়। উল্লেখ্য দুই সহোদর সামির (১০) ও অভি (৮) গত ১ জুলাই ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে বাসা থেকে আকস্মিক ভাবে নিখোঁজ হয়। তার আত্মীয় স্বজনরা সম্ভাব্য সকল আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজ করেও তাদের সন্ধান পায়নি। শিশু সামির বড় বহুলা হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র ও অভি টাউন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র। শনিবার রাত ১০টার দিকে শহীদ খান হবিগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর