,

বাহুবল উপজেলায় ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন এমপি কেয়া চৌধুরী

আছমা জান্নাত মনি ॥  বাহুবলে  ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম’র ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন এমপি কেয়া চৌধুরী। গতকাল সোমবার বিকেলে তৃণমূল লোকজনকে সাথে নিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশে এমপি কেয়া চৌধুরী এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপূর্বে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন স্থলকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে। এ উপলক্ষে উপজেলাসহ  আশপাশ এলাকা থেকে মিছিল ও শোভাযাত্রা করে তৃণমূলের লোকজন এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।  এক সময় অনুষ্ঠানস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। সবার মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। উপজেলার চত্ত্বরের কাছে আয়েজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।  মিষ্টিমুখ করে সবাই মিছিলসহকারে এমপি কেয়া চৌধুরীকে নিয়ে উপজেলা হলরুমে এসে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মিলিত হন। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দীন। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আশীষ কর্মকারের পরিচালনায় সভা প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। জননেত্রীর সরকার তৃলমূলের উন্নয়নে একের পর এক বরাদ্দ প্রদান করছেন। তিনি বলেন, আমি এমপি হবার পর থেকে জননেত্রীর নির্দেশ মেনে কাজ করছি। যার প্রমাণ তৃণমূল লোকেরা। তিনি বলেন, আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী বাহুবলের সন্তান। তিনি ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বে সিলেট বিভাগজুড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। স্বাধীনতার পর বাহুবল থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পুনরায় ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসলে বাহুবলের সন্তান হিসেবে আমি এমপি নির্বাচিত হয়ে বাহুবলের নেতাকর্মীর কাছে এসেছি। এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু’র আদর্শের সৈনিক। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি।  এ স্বপ্ন পূরণে কেউ বাধা দিলে, আমি তৃণমূল লোকদের নিয়ে তা প্রতিহত করব। আর বসে থাকব না। তিনি বলেন, দেশের ৪৯০টি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেয় জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাই শেখ রাসেলের নামে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ হবে। তিনি বলেন, এমপি হবার পর জননেত্রী সরকারের কাছ থেকে বাহুবলের মিরপুর কলেজকে সরকারীকরণ এনে দিয়েছি। আমার দাবীর প্রেক্ষিতে বাহুবল দ্বীননাথ স্কুল সরকারী ঘোষণা হয়েছে। আমার দাবির প্রেক্ষিতে বাহুবল ও মিরপুর পৌরসভা হচ্ছে।  বাহুবলের স্থানে স্থানে রাস্তা, ব্রিজ, স্কুল ভবন, মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছি। বাড়ি বাড়ি বেকার নারী ও পুরুষদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছি। স্কুল ও কলেজে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব চালু এবং শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, আমি উন্নয়নের জন্য এসেছি। আমার উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। তাই উন্নয়ন স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে আগামী নির্বাচনে আমি এ আসন থেকে নৌকার টিকিট দাবী করব। এ জন্য চাই আপনাদের দোয়া ও সমর্থন ভালবাসা। এ সময় শত শত লোকজন হাত তুলে এ আসনে প্রার্থী হতে এমপি কেয়া চৌধুরীর প্রতি আহবান জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু, সাংগঠনিক সম্পাদক বশির আহমেদ, যুবলীগের আহবায়ক অলিউর রহমান অলি, যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাহিদ মিয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবুল হোসেন, ডেপুটি কমান্ডার হাজী মোঃ নুর মিয়া, ডাঃ বাবুল কুমার দাশ, প্রেসক্লাব সভাপতি নুরুল ইসলাম নুর, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক এম শামছুদ্দিন, উপজেলা  সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক শামিম আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শামীনুর রহমান, মিরপুর আলিফ সোবহান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, দ্বীননাথ ইনস্টিটিউশন মডেল হাই স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক, প্রভাষক আপ্তাব উদ্দিন, উপজেলা মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাহেলা আক্তার, উপজেলা ওলামালীগের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।


     এই বিভাগের আরো খবর