,

হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ শহর রক্ষা বাঁধের পাশ থেকে মাটি উত্তোলনের মহোৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ শহর রক্ষা বাঁধের পাশ থেকে মাটি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। সদর উপজেলার তেতৈয়া এলাকায়
ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থেকে অবৈধভাবে মাটি তুলছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে মারাত্মক হুমকির মূখে পড়েছে শহররক্ষা বাধ। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে অবৈধ মাটি উত্তোলনকারীদের সতর্ক করে দিয়েছে সদর মডেল থানা পুলিশ। জানা যায়, তেতৈয়া এলাকার শহর রক্ষা বাঁধের পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে কয়েক বছর ধরে তেতৈয়া এলাকার হাজি সফিকুল ইসলাম ও তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র মাটি উত্তোলন করে ট্রাক্টরযোগে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করছিল। গত বছর জুন মাসে খোয়াই নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়ায় খোয়াই নদীর ওই অংশে বাধে ফাটল দেখা দেয়। রাতভর চেষ্টা চালিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রশাসন বাঁধ রক্ষা করেন। ওই সময় সদর আসনের এমপি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির, সাবেক জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বাঁধ পরিদর্শনে যান এবং আশপাশের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়ে ওই জায়গা থেকে মাটি বা বালু উত্তোলন না করতে নির্দেশ দেন। নদীর পানি কমে গেলে প্রভাবশালী চক্রটি কিছুদিন মাটি উত্তোলন বন্ধ রাখে। কিন্তু সম্প্রতি আবারো ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে মাটি উত্তোলন করে তারা। নদীর বাঁধের উপর দিয়ে মাটিবোঝাই ট্রাক্টর চলাচল করায় বাঁধটি দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি কিছুদিন আগে বাঁধের উপর নির্মিত পাকা সড়ক ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ অবস্থায় খোয়াই নদীর শহররক্ষা বাঁধ রক্ষায় মাটি উত্তোলন বন্ধে জনস্বার্থে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন জনৈক মনিরুজ্জামান সুমন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ওই জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাটি উত্তোলন অব্যাহত রাখে প্রভাবশালী চক্রটি। খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে সদর মডেল থানার এএসআই হরিধন, বিকাশ দাশ ও আতোয়ার রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি উত্তোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন এবং ১৪৪ ধারা জারির কপি দিয়ে আসেন। উল্লেখ্য শহর রক্ষা ওই বাঁধ থেকে মাটি উত্তোলন করায় নদীর অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি সড়ক পথ মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর