,

মাতৃত্বকালীন সময়ে মার মৃত্যুর জন্য দায়ী অসচেতনতা -ডেলিভারীতে মাতৃ মৃত্যুর অডিটে ডা. বাবুল কুমার দাশ

মনিরুল ইসলাম শামিম ॥ বাহুবলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ডেলিভারির সময়ে মাতৃ মৃত্যুর উপর অডিট করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ বিভাগ। গতকাল শনিবার অডিট টিম মায়েদের বাড়ীতে গিয়ে সরেজমিন
পর্যবেক্ষণ করেন। মাতৃমৃত্যুর উপর অডিট টিমের নেতৃত্বে ছিলেন বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. বাবুল কুমার দাশ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম শামিম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মৌলুদ হোসেন আখঞ্জী, মা-মনি এইচএসএস প্রকল্পের এইচআইএস কো-অর্ডিনেটর মোঃ শাফিউল কবির, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হুমায়ুন রশিদ রিমন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক অমিও আচার্য্য, স্বাস্থ্য সহকারি মানিক মিয়া, পরিবার কল্যাণ সহকারী সিমা গোপ। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় অধিকাংশ মায়ের মৃত্যু হয়েছে দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণে। আবার কিছু কিছু মুত্যু হয়েছে স্থানীয় চিকিৎসকদের ভুল পরামর্শের কারণে। বিগত জুলাই ২০১৭ইং হতে মে ২০১৮ইং পর্যন্ত বাহুবল উপজেলায় মাতৃ মৃত্যু হয়েছে ৩ জন। যা বিগত বছরের মাতৃ মুত্যুর হার থেকে এ বছর অনেকটা কমেছে। উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের চক হরিহর গ্রামের মোতাহির মিয়ার বাড়িতে গেলে জানা যায়, তার স্ত্রী সুহেনা আক্তার গত ২০১৭ সনের ১০ জুলাই ৭ মাসের গর্বাবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুর পূর্বে সে দীর্ঘদিন জ্বরে ভোগছিল। দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভোগতে থাকায় তাকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এতেও তার অবস্থার কোন উন্নতি না হয়ে শেষ দিকে এসে চোখে কম দেখতেও শুরু করে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর এক সময় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে বাড়িতেই তার মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের বৃন্দাবন চা বাগানের উত্তম বাহাদুরের বাড়িতে গেলে জানায় যায়, তার স্ত্রী পাখি বাহাদুর নিয়ম মতোই স্থানীয় কমিউনিটি কিনিকে গিয়ে পরামর্শ নিচ্ছিল। সুস্থ্য শরীরেই দিন কাটছিল তার। তবে তার মৃত্যুর আগের দিন রাত থেকে প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্থানীয়দের পরামর্শে ঐ রাতে হাসপাতালে নিয়ে যাইনি। পরে ৮ মে সকালে স্থানীয় ক্লিনিকে যোগাযোগ করলে তারা আমার স্ত্রীকে বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শ মতে বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমার স্ত্রীর গর্বে একটি মৃত বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে। বাচ্চা জন্মগ্রহণের পরপরই আমার স্ত্রীর অতিরিক্ত রক্তকরণের কারণে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। উল্লেখ্য, মা-মনি এইচএস প্রকল্প মা ও শিশু মৃত্যু হৃাস কল্পে স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ বিভাগের সাথে কাজ করে আসছে।


     এই বিভাগের আরো খবর