,

নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জে নীলু হত্যাকান্ড: হত্যাকারীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে ঘরে প্রবেশ করে নীলু সূত্র ত্রধর (৬০) নামে বৃদ্ধার হত্যাকারী রঞ্জিত সূত্রধর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গত সোমবার হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক তাহমিনা হক এর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। কুপিয়ে হত্যার ৪ দিন পর গত শনিবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ঘুমড়াকান্দা মহল্লা থেকে ঘাতক রঞ্জিতকে (২৪) গ্রেফতার করে একদল পুলিশ। রঞ্জিত নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউপির রাজনগর (ভুমিহীন) গ্রামের অভিনাশ সূত্রধরের ছোট ছেলে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন। ওসি জানান, জবানবন্দীতে রঞ্জিত বলেছেন, নিহত নীলু সুত্রধর তার সম্পর্কে ঠাকুর মা হয়। সে তার ঠাকুর মায়ের কাছে ঘটনার ১০/১২ দিন পূর্বে ২০ হাজার টাকা জমা রেখেছিল। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রঞ্জিত ঠাকুর মায়ের কাছ থেকে টাকা আনতে তাদের বাড়িতে যায়। সে তার ঠাকুর মায়ের কাছে টাকা চাইলে তিনি কিসের টাকা জানতে চান। তিনি রঞ্জিতের টাকার কথা অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বাকবিতান্ডা শুরু হলে, নীলু সূত্রধরের ছোট মেয়ে রঞ্জিতের পিসি শিল্পী সূত্রধর এ সময় তাকে দা কোপ দিতে গেলে রঞ্জিত প্রাণ রক্ষার্থে দা কেড়ে নিয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি কোপ মারতে থাকে। রঞ্জিতের এ জবানবন্দী সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী আহত শিল্পি সূত্রধর। তিনি জানান, ঘটনার সময় টাকার বিষয়ে কোন কথাই হয়নি তার সাথে। রঞ্জিতের সাথে আমার মায়ের টাকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোন লেনদেন নেই। রঞ্জিত মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সত্যটা গোপন করছে। নিহত নীলু সূত্রধরের পুত্র কুয়েত প্রবাসী জীবন সূত্রধর বলেন, রঞ্জিত দিন এনে দিন খায়। ২০ হাজার টাকা এক সাথে জমানো তার জন্য এটা অসম্বব। আমার মাকে আমি মাসের মাস বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছি। কারো কাছে আমার মা টাকা ধার নিবেন এটা অবিশ্বাস্য। রঞ্জিত যে জবানবন্দী দিয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ হত্যাকান্ডের পিছনে অন্য কেহর হাত রয়েছে বলে তিনি সন্দেহ করছেন। তিনি সহ তার পরিবারের কেউই রঞ্জিতের এ জবানবন্দী মেনে নিতে পারছেননা। তারা চান প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হউক। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (০২/০৪/২০১৯ইং) সন্ধ্যা রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইছবপুর গ্রামের মৃত চাঁনমণি সূত্রধরের ২য় স্ত্রী নীলু রানী সুত্রধর ও তার কন্যা শিল্পী সুত্রধরের উপর তাদের বসত ঘরে প্রবেশ করে রঞ্জিত হামলায় চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলে নীলু সুত্রধর নিহত হন। তার মেয়ে শিল্পী  সুত্রধরকে আশংকাজনক থাকায় তাকে রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে গত শনিবার (০৬/০৪/২০১৯ইং) সন্ধ্যায় শিল্পী ঘটনাস্থল বাবার বাড়িতে আসেন। শিল্পী ঘটনার ১৫/১৬ দিন পূর্বে মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী মনোহরপুর গ্রাম থেকে মায়ের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। শিল্পী স্বপন সূত্রধরের স্ত্রী ।


     এই বিভাগের আরো খবর