,

বাল্য বিবাহ ও প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে দুরে থাকার আহবান এএসপি রবিউল ইসলামের

নিজস্ব প্রতিনিধি :: লাখাইয়ের হাওর বেষ্টিত বুল্লা ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এলাকায় মাদনা বাজারে বিট পুলিশিং সভা ও এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভবানীপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতামূলক সভায় অনুষ্ঠত হয়েছে। পৃথক ৩টি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম। লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অজয় চন্দ্র দেব পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (তুহিন), বেগুন মাদনা এসইএসওপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডাঃ এমএ ওয়াহাব। অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন ভবানীপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লক্ষী রানী চক্রবর্তী, নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক নেপাল চন্দ্র দাস, আবু বক্কর সিদ্দিকী, ওয়াসিনুল বাবু, ইউপি সদস্য নুরুজ মিয়া, শিক্ষক সোহেল রানা তালুকদার, এসআই সফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সাজু মিয়া, পল্লী চিকিৎসক জসিম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল সরকার, পল্লী চিকিৎসক অমূল্য রায় প্রমূখ। পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, লাখাইয়ের হাওর অঞ্চলের প্রকৃতির পরিবেশগুলো যেমন সুন্দর। তেমনি এই অঞ্চলে মানুষগুলো মন মানুষিকতা ভাল। কিন্তু অর্থাঞ্চলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা, ঝগড়া বিবাদ হয়ে থাকে। এই দাঙ্গার কারণে এলাকার যেমন অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি সামাজিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই দাঙ্গার কারণে লাখাইসহ হবিগঞ্জ জেলাবাসির বাহিরে সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাই আমাদের দাঙ্গা প্রতিরোধ করতে হবে। দাঙ্গা প্রতিরোধ হলে সমাজ জীবনে শাস্তি ফিরে আসবে। তিনি আরো বলেন, বাল্য বিবাহ আমাদের সমাজের একটি ব্যধি। বাল্য বিবাহর জীবনকে অকাল শেষ করে দেয়। তাই ছাত্রছাত্রীসহ সকলে মিলে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে। কোন ছাত্রীর মা-বাবা যদি তাকে বাল্য বিবাহ দিতে চান তাহলে তাদের বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝাতে হবে। অভিভাবকরা এ সম্পর্কে না বুঝলে পুলিশের সাথে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করবেন। সে ক্ষেতে অভিযোগের যোগাযোগ মাধ্যমে সহজ করা হয়েছে। বিনা পয়সা ৯৯৯ এর কল করে অভিযোগ করা যাবে। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে অভিযোগ করতে পারবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগকারী নাম গোপন রাখা হবে এবং সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরো বলেন, অভিযোগ উঠেছে অত্রাঞ্চলে কিছু মাদক ব্যবসায়ীরা মদ বিক্রি করছেন। মাদকের ব্যাপারে পুলিশ কিঞ্চিতও ছাড় দেয়া হবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের ফলে অল্প বয়সেই শিক্ষার্থীদের চোখে সমস্যা হচ্ছে। এর ফলে তাদের চশমা ব্যবহার করতে হয়। তাই মোবাইল ফোনের কোন প্রকার অপব্যবহার করা যাবে না। ১৮ বছরের নিচে কাউকে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার জন্য তিনি আহŸান জানান। স্কুল ও কলেজে আসা-যাওয়ার পথে কোন ইভটিজার সমস্যা করলেও তাৎক্ষণিক এ বিষয়টি অভিভাবকসহ শিক্ষকদের জানাতে হবে। তারা এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলেও পুলিশকে জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকার আহŸান জানান। মাদনা বাজারে সভায় বক্তারা কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে মদসহ অন্যান্য মাদক বিক্রি অভিযোগ তুলেন। এ প্রেক্ষিতে প্রধান অতিথি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দেন এবং দাঙ্গা মাদক ইভটিজিং বাল্য বিবাহ প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে দুরে থাকার আহŸান জানান। এছাড়াও সভাগুলো অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং সমাধানের আশ^াস দেন। অনুষ্ঠান শেষে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা বিতরণ করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর