,

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, করোনা নিয়ে উদ্বেগ

সময় ডেস্ক :  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের সদস্য ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেয়ে গুলশানের ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে শুক্রবার জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাকে পূর্ণাঙ্গ সুস্থ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যেও বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন বিএনপি প্রধান। গত ২৫ মার্চ বিকেলে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান খালেদা জিয়া। বাসায় যাওয়ার পর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে কোয়ারেন্টাইনে তার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। তার সাথে নার্সসহ সেবা প্রদানকারী কয়েকজন সদস্যও সেলফ কোয়ারেইটাইনে রয়েছেন ফিরোজার দোতলাতে। ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটিজ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিকস, চোখ ও দাঁতের নানা রোগে আক্রান্ত। তার ব্যক্তিগত চিকিতৎক টিমের একাধিক সদস্যের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার হাত-পায়ের ব্যথাটা বেশি। তার শারীরিক অসুস্থতা অনেক বেশি। তিনি হাঁটতে পারেন না। ব্যথা উপশমের জন্য গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে থেরাপী দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিকস এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার সুস্থতার অগ্রগতি ধীর। এজন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। তাকে বাসায় আনার পর তিনি মানসিকভাবে স্বস্তিবোধ করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খবরাখবর সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। প্রতিদিনের পত্রিকায় করোনার ভয়াবহতা দেখে খালেদা জিয়া অনেকটা দুশ্চিন্তায় আছেন। এসব নিয়ে তিনি অনেকের সঙ্গে আলোচনাও করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর