,

নবীগঞ্জের করোনা পরিস্থিতিকে কেমন করে দেখছেন এলাকার সচেতন জনগণ?

কোভিড-১৯ তে আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে সারাদেশে। তন্মধ্যে এহেন পরিস্থিতি হবিগঞ্জ জেলার লন্ডনী অধ্যুষিত এলাকা নবীগঞ্জে। ইতমধ্যেই উপজেলায় ১৮জন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। যা নিয়ন্ত্রণে ব্যার্থ হলে হাজারে পৌঁছাতে বেশি দিন গুণতে হবে না উপজেলাটাকে। ইতমধ্যেই জেলার হটস্পট হিসেবে নবীগঞ্জের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। তবুও বাজার গুলোতে চলছে লুকিয়ে ঈদের কেনাবেচা। প্রশাসনকে লুকিয়ে দোকানে দোকানে চলছে ঈদের জামাকাপড়ের রমরমা ব্যবসা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে তিলধারণের টাই নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রশাসনের কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই প্রতিদিন চলছে রমরমা বাণিজ্য। দোকানের শাটার গুলোতে ঠুকা দিলেই ভিতর থেকে আসে গায়েবি আওয়াজ “কি লাগবে?”। এমন পরিস্থিতিতে দিনকে দিন ভড়কে যাচ্ছে এলাকার করোনা পরিস্থিতি। অনেকে’তো এটাকে হাসির খোরাক বানিয়ে বলছেন- করোনা নবীগঞ্জে এসে লজ্জিত হয়ে পরেছে। কেউ তাকে পাত্তাই দিতে চাচ্ছে না! এভাবে আর কত? আর কত আক্রান্ত হলে মানুষ সচেতন হবে? নবীগঞ্জকে ইতিমধ্যেই হটস্পট ঘোষণা করে অফিশিয়ালি লকডাউন করার জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন নাগরিকগণ। এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, এলাকার কয়েকজন নাগরিক বলেন- প্রশাসন চাইলেই যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তা’না। নিজেদের কে সচেতন না হলে এই সংখ্যাটা চার ডিজিটে যেতে খুব বেগ হবে না। এখনই নিজেদের সচেতন হয়ে ঘরবন্দী হওয়াটা জরুরি। ব্যবসায়ী সংগঠন গুলাকেও এ বিষয়ে সচেতন এবং কঠোর হওয়ার পরামর্শ সচেতন জনসাধারণের। নির্দেশনা অমান্যকারী ব্যবসায়ীদের জরিমানা অথবা সদস্য পদ বাজেয়াপ্তের আওতায় নিয়ে আসার দাবি তাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে এখনই নিজেদের প্রত্যেকের বাসায় সেল্ফ লকডাউন বাধ্যতামূলক না করলে বড় মাশুল গুণতে হবে বিশাল জনগোষ্ঠীর এই উপজেলাকে বলেও অনেক সচেতন নাগরিকের অভিমত।

লেখকঃ ইসলাম ইফতি।


     এই বিভাগের আরো খবর