,

নবীগঞ্জে বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নে বাবু রংগ লাল -এর আর্থিক অনুদান

নবীগঞ্জ উপজেলার ১নং ইউপির জগন্নাথপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের বন্ধু আর্থ মানব সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি (কাতার প্রবাসী) বাবু রংগ লাল দাশ দূর্গাপূজা উপলক্ষে সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সেই সাথে ১নং ইউপির ৮টি মন্দিরে আর্থিক অনুদান করেছেন। এর মধ্যে ফতেপুর একতা সংঘ কে ৫ হাজার টাকা, চৌকি জনতা সংঘকে ৫ হাজার টাকা, বাল্লারহাট হরিসংঘে নবমীর প্রসাদ এর জন্য ১০ হাজার টাকা, হলিমপুর সততা সংঘে মহানবমীর প্রসাদ প্রদান করেন, বাউসী দূর্গা মন্দিরে মহানবমীর প্রসাদ প্রদান করেন, চরগাঁও মিতালী সংঘে ৫ হাজার টাকা, চরগাঁও সার্বজনীন নাট্য মন্দিরে ৫ হাজার টাকা, বাবু রংগ লাল দাশ শুধু পূজাতে নয় বিভিন্ন মন্দির ও নির্মাণ করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতেও তিনি বেশ সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই রয়েছে জীবনের স্বার্থকতা। জীবনের উদ্দেশ্য শুধু নিজেকে সুখী করা জন্য নয় বরং উদ্দেশ্য অন্যেকে সুখী করা। কথায় আছে পৃথিবীতে দান করে কিংবা মানবসেবা করে কেউ কখনো গরীব হয়নি, বরং গরীব মন মানসিকতার মানুষরাই কখনো কারো জন্য কিছু করতে পারেন না। পৃথিবীতে সেই মানুষগুলোই সবচেয়ে সুখের কাছাকাছি যেতে পেরেছেন, যারা নিজেদেরকে আর্তমানবতার সেবায় বিলিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন। নিজের জন্য নয়, সমাজ ও মানুষের সেবা করার মাঝেই সবচেয়ে বড় আনন্দ। “জীবে দয়া করে যেজন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর”। জীবনের শুরু থেকেই মানুষের কল্যাণে নিবেদিত এক প্রাণ ও মানবতার নাম কাতার প্রবাসী বাবু রংগ লাল দাশ। যার কিছুটা উপলদ্ধি করার সুযোগ হয়েছে, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সময় ৪ হাজার মাক্স নবীগঞ্জ উপজেলার ১নং ইউনিয়নের প্রত্যেকটা গ্রামে বিতরণ করেন এবং বন্যর্তীদের মাঝে ১ হাজার টাকা এবং চার শতাধিক পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার উপহার স্বরূপ পৌছে দেওয়ার সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে গেছেন কাতার প্রবাসী নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান বাবু রংগ লাল দাশ। সেই সাথে নবীগঞ্জ প্রশাসনের ত্রাণ তহবিলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগীতা করেন। শুধু তাই নয় মানবতার কল্যাণে কাজ করার জন্য ১নং ইউনিয়নের প্রত্যেকটা গ্রামে মন্দির এবং নাট্য মন্দির স্থাপন করেন।

১নং ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে ২টি নাট্য মন্দির স্থাপন, হলিমপুর গ্রামে ২টি নাট্য মন্দির স্থাপন ও অনন্ত আখড়াতে ৫টি সিলিং ফ্যান, বাউসী গ্রামে ১টি দূর্গা মন্দির স্থাপন, সোনাপুর গ্রামে দূর্গা মন্দির পূর্নসংস্কার, সোনাপুর গ্রামের মসজিদের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্য ৭৫ হাজার টাকা এবং খেলার মাঠ ও মেরামত, চরগাঁও গ্রামে আখড়াতে ৩টি সিলিং ফ্যান ও খেলার মাঠ মেরামত, আমড়াখাই গ্রামে হরি বাসর সঙ্গে হারমোনিয়াম, মৃদঙ্গ, ঝাঝ এবং করতাল উপহার, ইউনিয়নের মধ্যে ২০-২২টি টিউবওয়েল দিয়েছেন, এছাড়াও ইউনিয়নের সকল সামাজিক সংগঠনে টাকা এবং টি-শার্ট উপহার দিয়ে যাচ্ছেন, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য টাকা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বই উপহার দিয়ে যাওয়া চেষ্টা করছেন।। অন্যের মুখে হাসিই যেন উনার কাছে জীবনের পরম সুখ পাওয়া। শুধু যে নবীগঞ্জে মানবতায় কাজ করছেন তা কিন্তু নয়, নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় উপহার সামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। আবার অন্যদিকে যারা আমাদের নিরাপদে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন তাদের কথাও যে চিন্তা করেননি তাও নয়। সততা, ন্যায়, নিষ্ঠা আর শক্ত মনোবল নিয়েই গুটি গুটি পায়ে হেটে চলছেন অজানা পথে। মানবতার আদর্শকে বুকে ধারন করে উপজেলার মানুষের জন্য কিছু করার দৃঢ় মনোবল নিয়ে মানবতার সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে চলেছেন বাবু রংগ লাল দাশ। কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যতটুকু সময় পেয়েছেন তার সবটুকু সময়ই দিয়েছেন মানব সেবায়। বহু প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে পথ চললেও পিচ পা হননি কখনো। সমাজে ভালো মানুষের সংখ্যা একেবারে ফুরিয়ে যাচ্ছে তা কিন্তু নয়। এখনোও সৃষ্টি হচ্ছে এ যুগে শত সহস্র মানব সেবক। এভাবেই প্রকৃত মানুষ মানুষের উপকারে ব্রতী হবেন। আসুন কামিনী রায়ের মতো বলি, আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে, আসে নাই কেহ অবনী পরে, সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে”।


     এই বিভাগের আরো খবর