জুয়েল চৌধুরী ॥ শহরের চিড়াকান্দি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ঘর বাধতে পারল না প্রেমিক যুগল। বেরসিক পুলিশের হাতে আটক হয়ে প্রেমিকের ঠিকানা হল শ্রী ঘরে ও প্রেমিকার ঠিকানা হল হাসপাতালে। এ নিয়ে শহরজুড়ে রসালে আলোচনার ঝড় বইছে। এদিকে, ওই কিশোরীর পিতা শহরের চিড়াকান্দি গোপিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা নারায়ন দাস তার মেয়েকে অপহরণ হয়েছে মর্মে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মালার প্রেক্ষিতে ও কল লিস্টের সূত্র ধরে সদর থানার আলোচিত এসআই সাইদুর রহমান সিলেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে গত বুধবার রাতে প্রেমিককে আটক করে অপহৃতাকে উদ্ধার করেন। জানা যায়, একই এলাকার বাড়িন্দ্র দাসের পুত্র ফেক্সিলোড ব্যবসায়ী রুবেল দাস (২২) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে নারায়ন দাসের কন্যা শহরের ফুল স্টার স্কুলের নবম ছাত্রী (১৫) এর। প্রায়ই তারা বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে আনন্দ ভ্রমনে যেত। আবার কোন কোন সময় চাইনিজ রেস্টুরেন্ট আড্ডা দিত। বিষয়টি আচ করতে পারে ওই ছাত্রীর পিতা। একপর্যায়ে তাকে বাসা থেকে বাহির হতে বারণ করে। কিন্ত প্রেম এমন এক জিনিস শতবাধা পেরিয়ে আপন মানুষকে কাছে পেতে ভালবাসার স্বপ্নে বিভূর হয়ে ঘর বাধার আশায় গত তিনদিন আগে অজানার উদ্যেশ্যে পাড়ি জমায় এবং একটি কালি মন্দিরে গিয়ে মালা বদল করে বিয়ে করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রুবেলকে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। থানায় আটক রুবেল এ প্রতিনিধিকে জানায়, প্রেমের কারণে জেলে যাচ্ছি দুঃখ নেই তবুও তাকে আজীবন ভালবাসব। এদিকে, ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সদর থানার ওসি জানান, পিতার অপহরণ মামলায় রুবেলকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।