,

বানিয়াচংয়ে ভেঙ্গে পড়ছে চাঁনপাড়া জামে মসজিদ

জহিরুল ইসলাম নাসিম ॥ বানিয়াচংয়ে চাঁনপাড়া মহল্লার জামে মসজিদটির গম্ভুজসহ দেয়াল গুলো ভেঙ্গে পড়ছে প্রতিনিয়ত। দীর্ঘদিন পূর্বেই মসজিদের ভিতরে ইটদিয়ে ২টি খুটি তৈরী করে ছাদ আটকানো ছিল। কিন্তু বর্তমানে খুটির পাশসহ সকল স্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। পূণঃনির্মান করতে না পারায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামাজ আদায় করছেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। আবার অনেকে জীবনের ঝুঁকি থাকায় অন্য এলাকায় নামাজ আদায় করছেন। চানপাড়া মহল্লার আয় ও বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে ব্যাংকে টাকা জমা থাকা সত্বেও নির্মান কাজ করতে পারছেনা এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ সরকারের বিভিন্ন দফতরে চানপাড়া এলাকার আব্দু রাজ্জাক গংরা ভূয়া তথ্য দিয়ে উক্ত মসজিদটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা পর্যটন বহিতে নাম লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এর পর থেকেই মূলত পূণঃনির্মাণ কাজটি থমকে যায়। মসজিদ পূণঃনির্মাণ করতে না পারায় এলাকায় লোকজনের মাঝে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে যে কোন সময় রক্তক্ষযী সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মসজিদটি পূণঃনির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর।
বানিয়াচং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও চাঁনপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম সুহেল জানান জীবনের ঝুকি নিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করতে হয়। জরুরী ভিত্তিতে মসজিদ পূণঃ নির্মান প্রয়োজন।
মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায়কারী চাঁনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও মসজিদের মোতাওয়াল্লী টেনু ঠাকুর, মুসল্লী আলী হোসেন ঠাকুর,মফু লস্কর, জাহির হোসাইন,সেলিম লস্বর, আব্দুল মান্নান লস্কর,মোতাব্বির মিয়া,লেছু মিয়া,আজিজুর মিয়া,ইকবাল ঠাকুর,সিরাজ লস্কর,বাদশা মিয়া, আনুয়ার ঠাকুর,ইসমাইল মিয়াসহ একই গ্রামের শতাধিক মুসল্লী জানান এলাকাবাসীর অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি মোগল আমলে নির্মান হয়নি এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন না হওয়া সত্বেও দুয়েকজন মসজিদ বিদ্ধেশী ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা পর্যটন বহিতে নাম লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করার কারণে পূণঃনির্মাণ কাজ আটক রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদটি পূণনির্মান করা প্রয়োন। অন্যতায় যে কোন সময় মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
চাঁনপাড়া ৫ মহল্লা ছান্দের সর্দার ও এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন ২১ বছর মসজিদের মোতাওয়াল্লী ছিলাম। বর্তমানে মসজিদটি খুবই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় মহল্লার ফান্ড ও এলাকাবাসীর অনুদানের ২২ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে মসজিদটি পূণঃনির্মাণের জন্য। যে কোন সময় মসজিদের ছাদ ভেঙ্গে বড় ধরণের দ”র্ঘটনা ঘটতে পারে। মসজিদ পূণঃনির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
সৈদ্যাটুলা ৭ মহল্লা ছান্দের সর্দার, আবু ইউসুফ খান ওয়াকফ এষ্টেটের মোতাওয়াল্লী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক এনামুল হোসেন বাহার জানান আমাদের পাশ্ববর্তী চানপাড়া জামে মসজিদটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুসল্লীরা নামাজ আদায় করছেন। জরুরী ভিত্তিতে মসজিদের পূণঃনির্মান করা প্রয়োজন।


     এই বিভাগের আরো খবর