,

এখন জ্বর হলে কী করবেন

সময় ডেস্ক ॥ করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের আঘাতে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশে ডেলটা ও অমিক্রন দুই ধরনেরই সংক্রমণের বিস্তার দেখা দিচ্ছে। ঘরে ঘরে জ্বর, কাশি, গলাব্যথার রোগী। কেউ পরীক্ষা করছেন, কেউ পরীক্ষা না করেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে অমিক্রনের মূল উপসর্গ। এর বাইরে উল্লেখযোগ্য উপসর্গ হলো—শারীরিক দুর্বলতা, ঘ্রাণশক্তি উবে যাওয়া, সর্দি, অরুচি, শরীরব্যথা, মাথাব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমি ইত্যাদি। জ্বরের সঙ্গে অন্য যেকোনো উপসর্গ থাকলেই এ সময় সর্বপ্রথম কোভিডের কথা ভাবতে হবে। পরীক্ষা করে প্রমাণ হওয়ার আগপর্যন্ত ধরে নিতে হবে, এটি কোভিড। তাই জ্বরসহ যেকোনো রোগের লক্ষণ দেখা দিলে অতিদ্রুত করোনার পরীক্ষা করে নিতে হবে। নিজেকে অন্তত পাঁচ-সাত দিনের জন্য আলাদা করে রাখতে হবে। টিকা নেওয়ার পর অনেকে মনে করছেন, তাঁরা বুঝি আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না। এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও করোনা হচ্ছে। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে টিকা নেওয়ার ফলে কোভিডের ভয়াবহতা অনেকাংশেই হ্রাস পেয়েছে। যা করবেন ¦ তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ সেবন করুন। মাথাব্যথা, গাব্যথা হলেও এই বড়ি গ্রহণ করা যেতে পারে। সর্দি–কাশির জন্য সেবন করা যেতে পারে অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধ। * ভিটামিন সি, জিঙ্ক এগুলো ভাইরাস নির্মূলের কোনো ওষুধ নয়। তবে খেলে কোনো ক্ষতিও নেই। * ভাইরাসবিরোধী বিভিন্ন ওষুধ নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এই ওষুধ সবার জন্য নয়। এ ধরনের ওষুধ নিজে নিজে সেবন না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। * যাঁরা ষাটোর্ধ্ব এবং যাঁরা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্?রোগ, কিডনিসংক্রান্ত রোগসহ অন্যান্য দীর্ঘদিনের অসুখে ভুগছেন, তাঁরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। ওষুধ সেবনের পরও উপসর্গ বেড়ে গেলে কিংবা শ্বাসকষ্টসহ নতুন উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। * আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখুন ও তাঁর কাছে যেতে মানসম্মত মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করুন। * সাবান দিয়ে বিশ সেকেন্ড ধরে বার বার হাত ধোয়া জরুরি। * গলাব্যথা বা খুসখুসে কাশিতে ঠান্ডা পানি, পানীয়, আইসক্রিম পরিহার করা দরকার। গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করা, আদা-লেবু-মধু মিশিয়ে চা পান করা বা বাষ্প নিশ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে আরাম পাবেন। * পর্যাপ্ত পানি পান করবেন। টাটকা ফলমূল এবং পর্যাপ্ত ক্যালরি ও আমিষ গ্রহণ করা উচিত। * বাসায় থার্মোমিটার দিয়ে নিয়মিত তাপমাত্রা মেপে দেখুন। এ সময় পালস অক্সিমিটার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র। মাঝেমধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা জানা জরুরি। মাত্রা ৯৩ ডিগ্রী এর নিচে নেমে গেলে চিকিৎসকের জরুরি পরামর্শ নেওয়া দরকার। * সতর্কতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে রক্তের কিছু মৌলিক পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে সিবিসি ও ডি-ডাইমার গুরুত্বপূর্ণ। লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সিএমএইচ, ঢাকা


     এই বিভাগের আরো খবর