,

৭৫ লাখ টাকার কুড়িয়ে পাওয়া ব্রিফকেস নবীগঞ্জে যুবক আটকের গুজব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে কুড়িয়ে পাওয়া ব্রিফকেসের ৭৫ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব তিমিপুর গ্রামের মালিক মিয়া নামের জনৈক যুবক র‌্যাবের হাতে  আটকের গুজব শুনাযাচ্ছে। তবে র‌্যাবের তরফ থেকে আটকের ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। আলোচিত ব্রিফকেস ভর্তি টাকা লুটের ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত চলছে। এ নিয়ে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন হয়েছে। এ ঘটনাকে ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বিশেষ একটি মহল। কুড়িয়ে পাওয়া ওই টাকার মালিকের সন্ধানে আইন শৃংখলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগর গ্রামের দিনমজুর শাহীন লাখাই বুল্লা এলাকার একটি চা স্টলে নাস্তা খাওয়ার এক পর্যায়ে কেবিনে একটি ব্রিফকেস তার নজরে পড়ে। নাস্তা শেষে ওই যুবক ব্রিফকেসটি হাতে করে নিয়ে আসে। ব্রিফকেস খোলে এতে ৭৫ লাখ টাকা দেখতে পায়। এক পর্যায়ে সে ১ লাখ টাকা খরচ করে। ৭৪ লাখ টাকা নিয়ে ১৭দিন পর রাতে সিএনজি নিয়ে শশুর বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে যায়। তাদেরকে টাকার কথা বলে বসত ঘরের চৌকির নীচে গর্ত করে ব্রিফকেসটি মাটির নীচে পুতে রাখে। সিএনজি চালক বদর টাকা নিয়ে আসার সময় পুরো ঘটনা আঁচ করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। বদর শাহিনের স্ত্রীর বড় ভাইয়ের বন্ধু। বদর মিয়া শাহিনকে বিশ^াস না করে গহরপুর গ্রামের আলাল মিয়া, জয়নাল মিয়া ও পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের মালিক মিয়ার সাথে পরামর্শ করে। পরামর্শ অনুযায়ী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে ভূয়া মালিক সাজিয়ে রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়। জোরপূর্বক মাটির নীচ থেকে টাকা ভর্তি ব্রিফকেস নিয়ে যায়। ৭/৮ জন লোক রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে। চৌকির নীচ থেকে মাটি খুড়ে চকলেট রংয়ের ব্রিফকেস তুলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বাধা দেয়া হলে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এদের সাথে সি.এন.জি চালক বদর, আলাল, জয়নাল ও মালিক মিয়া উপস্থিত ছিল। এনিয়ে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন হয়। গতকাল আলোচিত ঘটনায় মালিক মিয়া নামের এক যুবক র‌্যাবের নিকট আটকের গুজব নিয়ে আলোচনায় মুখরিত হয় উপজেলার জনপদ। ঘটনাকে ভূয়া গুজব হিসেবে অভিহিত করে র‌্যাব ও পুলিশ। র‌্যাব শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াডন লিডার এ.এন.এ মোছাব্বির জিডিপি বলেন, ব্রিফকেস রহস্য উদঘাটন ও টাকা লুটের ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা হয়নি। নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এনিয়ে কোন মামলা হয়নি। উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির বৈঠকে রেজুলেশনের সূত্রধরে তদন্ত চলছে। গুজবের রহস্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর