,

পানিউমদা ও নোয়াগাঁও গ্রামের বিরোধের নিষ্পত্তি ॥ জনমনে স্বস্থি

নুরল আমীন পাঠান ॥ বড়চড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি ও নোয়াগাঁও গ্র্রামবাসীর মধ্যে সৃষ্ট বিরোধটি সালিশে নিস্পত্তি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৩ টায় স্থানীয় রইছগঞ্জ বাজারস্থ সাগর কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে শালিস বৈঠকটি শুরু হয়ে দীর্ঘ ৪ ঘন্টাব্যপী সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আঃ হাই, নবীগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী, সাবেক ইউ.পি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এমদাদুর রহমান মুকুল, পানিউমদা ইউপি চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান, দেবপাড়া ইউ.পি চেয়ারম্যান এড. মাসুম আহমেদ জাবেদ, সংসদ সদস্য মুনিম চৌধুরী বাবুর প্রতিনিধি নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহব্বায়ক বিশিষ্ট শালিস বিচারক ডাঃ শাহ্ আবুল খায়ের, সাবেক চেয়ারম্যান আঃ রহমান, ১০নং ইউপি জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, উপজেলা যুবসংহতির সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নুরুল আমিন পাাঠান (ফুল মিয়া), ইলিয়াছ মিয়া, সাবেক মেম্বার তোয়াব উল্লাহ, বর্তমান মেম্বার আছমাউল, বিশিষ্ট মুরুব্বি সুরোজ আলী, আওয়াল মিয়া, শওকত আলী, লাল মিয়া, উক্ত বিচার সভায়  ভাটি অঞ্চল তথা নয়াগাও গ্রামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান, পানিউমদা তথা বড়চড়া পানি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পক্ষে বক্তব্য রাখেন, বর্তমান মেম্বার মোঃ আরজদ আলী। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচার সভার সভাপতি উপজেলা চেয়াম্যান আলমগীর চৌধুরী- মাওলানা আশরাফ আলী, মোঃ আব্দুল হাই, এড. জাবেদ আলী, এমদাদুর রহমান মুকুল, ইজাজুর রহমান, ডাঃ শাহ্ আবুল খায়ের, আব্দুর রহমান, এড. আলমগীর ইলিয়াছ মিয়া, নোয়াগাও এর পক্ষে সাবেক মেম্বার তাহির মিয়া বর্তমান মেম্বার কালা মিয়া, ও সমবায়ের পক্ষে বর্তমান মেম্বার আরজদ আলী, আব্দুর রাজ্জাক (চুনু মাষ্টার) এর সমন্বয়ে একটি বিচারিক বোর্ড গঠন করেন। পরে মোঃ আব্দুল হাই, এমদাদুর রহমান মুকুল আবেগী বক্তব্য উপস্থাপনের পর উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী রায় ঘোষনা কল্পে পানিউমদা ও নোয়াগাও গ্রামের ঐতিহ্য অনুযায়ী পুর্বাপর ভাই-ভাই আত্তিয়তার সম্পর্ক বজায় রেখে ভবিষ্যতে চলাচল করার জন্য আহব্বান করেন। আইন অনুযায়ী বড়চড়া খাল ও মৎস সম্পদ সমিতির এবং পানি সম্পদ সকলের বলে রায় ঘোষনা করেন। ভবিষ্যতে এ বিষয় নিয়ে কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে সমাধানের জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, সমিতির সদস্য আরজদ আলী, নোয়াগাও সদস্য তাহির মেম্বার এর সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। এতে করে এলাকায় শস্তি ফিরে আসে। উক্ত বিচার সভায় উল্লেখযোগ্য সংখক রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধি ও স্ব-স্ব এলাকার হাজারো জনতার সমাগম ঘটে। উল্লেখ্য গত ২৪ অক্টোবর উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের পানিউমদা ব্রিজ সংলগ্ন সুইচ গেইট, (পানিউমদা, বড়কান্দি, কুড়াগাঁও) সমন্বয়ে গঠিত বড়চড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাথে- নোয়াগাাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে পানি নিয়ে বিরোধের জের ধরে টান-টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী উভয়পক্ষে স্ব-স্ব এলাকায় মাইকিং করলে সংশিষ্ট গ্রামবাসীদের মধ্যে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রুপ নেয়। উত্তেজনার খবর পেয়ে আইন শৃংখলা রক্ষায়, গোপলার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আরিফ ঘটনাস্থলে যান। উক্ত মারমুখী ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকার খবর পেয়ে, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাও: আশরাফ আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের  সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, দেবপাড়া ইউপি জাতীয় পার্টির সভাপতি ইলিয়াছ মিয়া, খাগাউরা গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি আউয়াল মিয়া, শওকত আলী সহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে উত্তেজনা নিরসনে দিন ব্যাপী দফায় দফায় শালিস বৈঠকের মাধ্যমে চেষ্টা চালায়। উল্লেখিত বিষয়ে, পানিউমদা ইউপির চেয়ারম্যান ইজাজুর রহমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান সহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বর্গের সাথে সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য অনুরোধ করেন।  ইউ/পি চেয়ারম্যান মোঃ ইজাজুর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের সম্মতিতে উপস্থিত সালিশানগণ ব্যক্তিবর্গ উভয়পক্ষের সাথে আলাফ-আলোচনা করে আগামী ১লা নভেম্বর রোজ শনিবার, সকাল ১০ঘটিকায় কাগাউড়া- রইছগঞ্জ বাজারে কমিউনিটি সেন্টারে শালিস বৈঠকের স্থান নির্ধারন করেন। উক্ত শালিস বৈঠকের মাধ্যমে এলাকায় স্বস্থি ফিরে আসে। নেতৃস্থানীয় শালিসানগণের উপস্থিতে এস আই আরিফ শালিস বৈঠকের পূর্ব পযর্ন্ত আইন শৃংখলা রক্ষায় জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহব্বান জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর