,

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে বিয়ে করে ঘর বাধা হলনা প্রেমিক যুগলের হবিগঞ্জে পুলিশের হাতে প্রেমিক যুগল আটক ॥

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বিশ্ব ভালবাসা দিবসে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ঘর বাধা হলনা প্রেমিক যুগলের। বিলেন পিতার মামলায় বেরসিক পুলিশের হাতে আটক হয়ে ঠিকানা হল শ্রীঘরে। গতকাল শুক্রবার সকালে এ সদর থানায় এ রসালো ঘটনাটি ঘটেছে। জানাযায়, শহরের অনন্তপুর গ্রামের আবু সাঈদের কন্যা বিকেজিসি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী ফারহানা আক্তার দৃষ্টি (১৫) প্রেমের সূত্র ধরে ইনাতাবাদ এলাকার মৃত ফনি ভূষণ চৌধুরীর পুত্র বৃন্দাবন সরকারী কলেজের ডিগ্রী ১ম বর্ষের ছাত্র পিয়াস চৌধুরী (২০) এর হাত ধরে গত ১৭ ই ডিসেম্বর অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। অনেক খোজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে দৃষ্টির পিতা আবু সাঈদ সদর থানায় কণ্যা অপহরণ হয়েছে মর্মে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে সদর থানার এস.আই মিন্টু দে ও পিএসআই দেলোয়ার হোসেন বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার হোটেল ডি হোসেনিয়ার একটি রুম থেকে প্রেমিক যুগলকে আটক কলে গতকাল শুক্রবার সকালে সদরথানায় নিয়ে আসেন। এখবর শহরে পৌছালে বিভিন্নস্থলের লোকজন তাদের ছাড়িয়ে নিতে থানায় দৌড়ঝাপ শুরু করে। প্রেমিক যুগল হিন্দু-মুসলমান হওয়ায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেন প্রেম এমন এক জিনিস যা জাত-খুল কিছুই মানে না। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে থানায় আটক প্রেমিক পিয়াস আক্ষেপ করে জানায়, প্রেম করেছি দুঃখ নেই- প্রেম কয়েদী হয়ে জেলে যাব এটাই আমার সুখ। তবে সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার কথা কিছু শোনেন যা যা ইতিহাসের পাতায় থাকবে। ২০১২ সালের ১৪ ই ফেব্র“য়ারী বিশ্ব ভালাবাস দিবসে দৃষ্টি সাথে আমার ১ম পরিচয় হয় বৃন্দাবন কলেজ ক্যাম্পাসে। এরই সূত্র ধরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা মোটর সাইকেল ও বিভিন্ন গাড়ীতে করে আনন্দভ্রমন করেছি অনেক জায়গায়। হঠাৎ একদিন দৃষ্টির বাসার সামনে তার বিলেন পিতা আমাদের দেখে ফেলেন। এরপর দৃষ্টিকে গালমন্দসহ আমার সাথে মিশতে বারণ করেন। কিন্ত তা উপেক্ষা করে আমাদের মাঝে গড়ে ওঠা নতুন সম্পর্ক চালিয়ে যায়। গত ১৭ ই ডিসেম্বর সকালে আমরা অজানার উদ্দেশ্যে সিলেট যাই। সিলেট গিয়ে ইস্কন মন্দিরে মালা বদল করে বিয়ে করি। এরপর আমরা ঢাকা চলে যাই। সেখানে কিছুদিন থেকে আমরা কক্সবাজার চলে যাই । কক্সবাজার উল্লেখিত হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে কয়েকদিন সংসার করি। কিন্তু কি করব অবশেষে পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেলাম না। এদিকে থানায় দৃষ্টির সাথে কথা বলতে চাইলে তার অভিভাবকরা কথা বলতে বারণ করেন। তবে দৃষ্টির আকার ইঙ্গিতে বুঝা গেছে সাংবাদিকদের সাথে সে কথা বলতে চায়। গতকালই ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে প্রেমিক যুগলকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে দৃষ্টি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার জবানবন্দী গ্রহন শেষে পিতার জিম্মায় দেওয়া হয়। আর প্রেমিক পিয়াসকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে এলাকাসহ শহরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর