,

আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের বিভিন্ন স্থানে সারাশী অভিযাননবীগঞ্জে প্রকাশ্যে দিবালোকে বেলাল হত্যাকান্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সিএনজি শ্রমিক বেলাল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে নিহতের পিতা ফারুক মিয়ার দায়েরী হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে থানা পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে রির্পোট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আসামী বাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছেন। তবে ঘাতকরা পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে ঘটনার সাথে সাথে গাঁ ঢাকা দেয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে দাবী করেছে পুলিশ। এদিকে সিএনজি শ্রমিক বেলাল মিয়াকে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বাড়িতে এখনও চলছে শোকের মাতম। নিহতের পিতা-মাতা এবং সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নিহত বেলাল মিয়া নবীগঞ্জের একজন দক্ষ ভিডিও ক্যামেরাম্যান ছিলেন। সে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভিডিও ক্যামেরা করতো। সম্প্রতি বিএ পরীক্ষা শুরু হলে বড় ভাই হেলাল আহমেদ পরীক্ষার্থী হওয়ায় তার সিএনজি চালানোর দায়িত্ব নিয়েছিলো নিহত বেলাল। উল্লেখ্য, গত রবিবার বিকালে শহরের শেরপুর রোডস্থ মা-হোটেলের ও মাইওয়ান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাড়ানো অবস্থায় প্রতিপক্ষ ছাত্রদল নেতা রায়েছ চৌধুরী ও সামছু মিয়া’র নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সিএনজি শ্রমিক বেলাল মিয়া কে কুপিঁয়ে রক্তাক্ত জখম করে। মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রচুর রক্তকরণ হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত সিলেট নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে স্বজনরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বেলাল মিয়ার মৃত্যু ঘটে। নিহত বেলাল মিয়া পৌর শহরের নোয়াপাড়া গ্রামের সাবেক পত্রিকার হকার ও সিএনজি ম্যানাজার ফারুক মিয়ার ছেলে এবং পত্রিকার এজেন্ট মোশাহিদ আলী ও মিয়া ধন মিয়ার ভাতিজা। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন কপিন নিয়ে শহরে মৌন মিছিল ও শোক র‌্যালী বের করে। সোমবার বিকালে জানাযার নামাজ শেষে তাকে নোয়াপাড়াস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার জানাযার নামাজে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ কয়েক হাজার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। এদিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে শ্রমিক বেলাল মিয়ার হত্যাকারীরা রয়েছে ধরাছুয়ার বাহিরে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বেলাল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবী জানিয়েছেন নোয়াপাড়া গ্রামবাসী ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন। নিহত বেলালের পিতা ফারুক মিয়া গতরাতে সামছু মিয়া ও রায়েছ চৌধুরীসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পরই পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে নানা স্থানে অভিযান চালিয়েও কাউকে না পাওয়ায় গ্রেফতার করতে পারেনি। সুত্রে জানাগেছে, আসামীরা ইতিপুর্বে গাঁ ঢাঁকা দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, আসামীরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। খুব শ্রীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের
বিভিন্ন স্থানে সারাশী অভিযাননবীগঞ্জে প্রকাশ্যে দিবালোকে বেলাল হত্যাকান্ড


     এই বিভাগের আরো খবর