,

নবীগঞ্জের গহরপুরে কবরস্থান ও শাখা বরাক নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শাখা বরাক নদী দিয়ে নবীগঞ্জ উজেলার গহরপুর, বাউশা ও মাইজগাও গ্রামের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ কয়েক হাজার লোকের নৌকা চলাচলের রাস্তা ও দক্ষিন গহরপুর গ্রামের পঞ্চায়েতি কবরস্থান জবর দখল করে নেয় এলাকার এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ভূমি খেকোরা। নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের দক্ষিন গহরপুর মৌজার বিভিন্ন দাগের পঞ্চায়েতি কবরস্থান ও সরকারী শাখা বরাক নদী একদল প্রভাবশালী ভূমি খেকোদের জবর দখলে। কবরস্থানের উপর ঘর নির্মান ও বায়োন্ডরী দিয়ে জবর দখল করা এলাকার ধর্মীয় মনোভাবের উপর আঘাত আনা হয়েছে মর্মে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জেগে উঠেছেন। তাই প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকাবাসী গণ স্বাক্ষর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বাউশা ইউনিয়নের দক্ষিন গহরপুর গ্রামের মৃত লেবাছ উল্লার পুত্র মাসুক মিয়া (৪০)। অন্যতায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের তুপের মুখে যে কোন রকমের অঘটন সংঘটিত হওয়ার আংশকা রয়েছে। তাই অনতি বিলম্বে উপজেলা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার আবেদন জানাচ্ছে এলাকাবাসী। অভিযোগে উল্লেখ, হাজার বছরের প্রভাবশালী খরসূতা শাখা বরাক নদী হেমন্ত মৌসুমে নদীর পাড়ে হাজারো লোকেরা সাতার কেটে গোসল করত, দূর পাল্লার নৌকা চলাচল করতো। এখন জোর পূর্বক দখল করে বৃক্ষ রোপন সহ বাধঁ নির্মান করে বছরের পর বছর নদীতে নির্মিত অবৈধ ভাবে খননকৃত পুকুর লিজ দিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেনীর ভূমিখেকোরা। দখলদারদের কারণে ওই এলাকার হাজারো মানুষ নানান সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই অবৈধ ভাবে সরকারী নদী ও পঞ্চায়েতি কবরস্থান দখল করায় এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে তারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া কবরস্থানের পবিত্রতা নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ও সরকারী জায়গা রক্ষাতে মৌজা দক্ষিন গহরপুর, জেল নং ১৫১, খতিয়ান নং ১, শাখা বরাক নদীর সাবেক দাগ নং ১৭/২৪৬, পঞ্চায়েতি কবরস্থান সাবেক দাগ নং ১৫/২৮/১২০/২৫৩ দাগের কিছু সংখক জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে আসছে বাউশা ইউনিয়নের মৃত নজির মিয়ার পুত্র মিরাস উল্লা, মৃত আতাব উল্লাহর পুত্র গোলজার আলী, মৃত রয়মান উল্লাহর পুত্র আরমান উল্লা, মৃত আজমান আলীর পুত্র জয়নাল মিয়া গংদের উপর নদী দখল ও পবিত্র কবরস্থান দখলের অভিযোগ এনে গত ১২/০৪/২০১৫ইং তারিখে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (রাজস্ব শাখা) হবিগঞ্জ থেকে গত ০৬.০৫.১৫ইং তারিখে মাসুক মিয়ার লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও সরেজমিন তদন্ত করে অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তারকে। গতকাল সরেজমিনে গেলে, আবু কায়ছার বুলবুল, মাসুক মিয়া সহ আরো কয়েকজন জানান, পূর্ব পাকিস্থান প্রদেশ থেকেই এখানে নদী ও কবরস্থান রয়েছে। এই নদীতে আমরা বড় বড় মাছ ধরেছি, সাতার কেটেছি। পাশ্ববর্তী পঞ্চায়েতি কবরস্থানে আমাদের বাপ দাদার কবরস্থান রয়েছে। আমরা এই কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষাতে অবৈধ দখলদার হইতে মুক্তি চাই। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এর সাথে গতকাল দুপুরে স্বাক্ষাতকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর