,

বাহুবলের ৪ শিশু হত্যাকান্ড : ঘাতক আরজু’র আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আলোচিত ৪ শিশু হত্যায় জড়িত আরেক ঘাতক হাবিবুর রহমান আরজু ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। বিকেল ৩টায় তাকে আদালতে নিয়ে আসেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোক্তাদির হোসেন রিপন। পরে বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে তার দেয়া জবানবন্দিতে বেড়িয়ে আসে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর আগে গত শুক্রবার ঘাতক আব্দুল আলী বাগালের পুত্র রুবেল মিয়া ও সোমবার তার ভাই জুয়েল মিয়া একই ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা তিনজনই ঘটনার দায় স্বীকার করে এবং লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে আদালতে। উপস্থিত সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, আরজু হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। ফলে এ ঘটনায় আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ওই চার শিশুকে অপহরণের দিনই তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে ওই দিনই বালি চাপা দিয়েছে কিনা এ বিষয়ে সে কিছু বলতে পারেনি। এ সম্পর্কে সে জানায় বালি চাপার বিষয়ে বলতে পারবে আব্দুল আলী বাগাল ও তার পুত্রসহ অন্যান্যরা এবং কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল ৯ থেকে ১০ জন। সে ৪ থেকে ৫ জনের নাম জানালেও সবার নাম জানেনা বলেও জানায়। দেশের যেখানেই শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটুক না কেন অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গেই মামলা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পুলিশ স্বীকারোক্তি ছাড়াও পুলিশ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য উদঘাটন করেছে এবং ঘটনার সাথে অন্য কোন কারন আছে কিনা এসব রহস্য উৎঘাটনের চেষ্ঠা করছে পুলিশ। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোযেন্দা পুলিশের ওসি মোকতাদির হোসেন রিপর জানান, আমরা ইতোমধ্যে মামলা সম্পর্কে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি খুব শিঘ্রই মামলার বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। ইতোমধ্যে ৩ জন আসামীর স্বীকারোক্তি ও বেশ কিছু আলামত উদ্ধারের ফলে মামলাটির কার্যক্রম অনেক এগিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান, তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সে কাউকে বাঁচানোর বা অন্য কাউকে হয়রানির চেষ্টা করছে কি না তাও আমারা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।


     এই বিভাগের আরো খবর