,

নবীগঞ্জে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানে শ্রমিকদের ধর্মঘটবকেয়া বেতন-ভাতা’র ২৫ লক্ষ টাকা দাবীতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইমাম ও বাওয়ানী চা-বাগানে বকেয়া বেতন-ভাতা’সহ বিভিন্ন দাবী নিয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে শ্রমিকরা। তাদের বকেয়া বেতন ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। সরেজমিনে শ্রমিকদের সাথে আলাপকালে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নে অবস্থিত ইমাম-বাওয়ানী চা বাগানের প্রায় সাড়ে চার শত শ্রমিকদের এরিয়া বিলসহ বকেয়া বেতনের প্রায় ২৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বেতন আদায় ও অন্যান্য দাবী বাস্তবায়নের জন্য কোম্পানীর উপ মহা পরিচালক বরাবরে বিগত ১০ অক্টোবর আবেদন করে শ্রমিকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ই নভেম্বর উক্ত বকেয়া বিল পরিশোধের আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ে বকেয়া বেতন-ভাতা না দেয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে চা বাগানের শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয়। গতকাল বুধবার ২য় দিনের মতো ধর্মঘট চলছে। ফলে কোম্পানীর প্রতি দিন ক্ষতি হচ্ছে কয়েকক্ষাধিক টাকা। অধিকার আদায়ের দাবীতে ধর্মঘটে যাওয়ায় পরিবার পরিজনদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন চা শ্রমিকরা। ইমাম চা বাগানের সভাপতি নির্মল রবি দাশ ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিক সমিতির সভাপতি স্বাধন মালাকার জানান, কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের বকেয়া বেতন-ভাতা নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। ঘরবাড়ি মেরামত করে দেয়ার কথা থাকলে কিছুই হচ্ছে না। আমরা অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছি। তাই আজ বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথ বেচে নিয়েছি। দাবী না মানলে ঘরে ফিরবো না। এ ব্যাপারে টিলা বাবু আব্দুল জলিল তালুকদার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পাওনা রয়েছে বলে স্বীকার করলেও অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী শ্রমিকদের ধর্মঘটের খবর পেয়ে চা বাগানে যান। সেখানে ধর্মঘটরত শ্রমিকদের শান্তনা দেন। পাশাপাশি তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবী বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এর সমাধান করবেন বলে জানান এবং তিনি আরও জানান আগামীকাল থেকে শ্রমিকরা তাদের কাজে যোগ দিবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর