,

আজ জেলা পরিষদ নির্বাচন : ২০ পদে ১শ প্রার্থীর লড়াই : ফুরফুরে মেজাজে ভোটাররা

রিপন দেব ॥ আজ বহুল আলোচিত জেলা পরিষদ নির্বাচন। কারা দখল করছেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সিংহাসন? এ প্রশ্নের জবাব আজ নির্ধারণ করবেন জেলার প্রায় ১১শতাধিক ইলেক্ট্রোরাল ভোটার। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলার প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে একটানা এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে জেলার ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড থেকে ৮৪ জন সদস্য প্রার্থী ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে ১৬ জন মহিলা সদস্য প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। জেলার প্রায় ১১ শতাধিক ইলেক্ট্রোরাল ভোটার (উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, পৌর কাউন্সিলর, পৌর মহিলা কাউন্সিলর, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ওয়ার্ড মেম্বর ও ইউনিয়ন মহিলা ওয়ার্ড মেম্বার) নির্বাচন করবেন ২১ সদস্যের জেলা পরিষদ। যদিও পরিষদের মূল পদটি ইতিমধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। একক প্রার্থী হওয়ায় জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক প্রশাসক ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরীকেই বেসরকারীভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে পরিষদের “চেয়ারম্যান” হিসেবে। হবিগঞ্জসহ দেশব্যাপী প্রথম বারের মত ইলেক্ট্রোরাল পদ্ধতির এ নির্বাচনকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সাধারণ মানুষের অভিমত, নির্বাচনকে ঘিরে ঘটেছে ব্যাপক কালো টাকার ছাড়াছড়ি। গত কয়েকদিন বাতাসে উড়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কোথাও কোথাও এক ভোটের দাম উঠেছে লাখ টাকা। এ অবস্থায় প্রার্থীরা তাদের জয় পরাজয় নিয়ে টেনশনে থাকলেও অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন ভোটাররা। শুধু তাই নয়, প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গিয়েও বহু প্রার্থী ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪নং ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী সংখ্যা ১০ জন। এখানে একই পরিবারের চাচা সৈয়দ মোঃ শামীম ও ভাতিজা সৈয়দ মোঃ রাসেল প্রতদ্বন্দ্বিতা করছেন। মাত্র ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ নং ওয়ার্ডে। এরা হলেন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ও আওয়ামীলীগ নেতা এমএ জব্বার ফুল মিয়া।


     এই বিভাগের আরো খবর