,

চুনারুঘাটে ধেবে গেছে ৩টি ব্রীজ

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার আহাম্মদাবাদ ইউনিয়নে আমু-নালুয়া সড়কের বটেরতল এলাকায় প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ কি.মি রাস্তায় ৩টি ব্রীজের এপ্রোচ নির্মাণের প্রায় ১ মাসের আগেই ধেবে গেছে। ব্রীজের দু’পাশে ১ ফুট পরিমান গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচলে দূর্ঘটনার আশঙ্খা বিরাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চুনারুঘাট উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আর.ই.আর.এম.পি প্রকল্পের মহিলা কর্মী দিয়ে ব্রীজের দু’পাশের গর্তে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। সাধারণত রাস্তা থেকে ব্রীজ উঁচুতে থাকে। কিন্তু একটি ব্রীজ রাস্তা থেকে প্রায় এক ফুট নীচে রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অনিয়ম ও নিম্মমানের কাজে ব্রীজ তৈরী করায় এমনটি হয়েছে। জানা যায়, নিন্মমানের রাস্তা ও ব্রীজের কাজ চলাকালীন সময়ে প্রতিবাদ করে স্থানীয় এলাকাবাসী ওই কাজটি বন্ধ করে দেন। মানসম্মত কাজ করার আশ্বাস দিয়ে ঠিকাদার পুনরায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু তিনি পরেও নিন্মমানের কাজ করা বহাল থাকে। এছাড়াও তিনি প্রকল্পে চাকুরী নেই উপ-সহকারী ডালিম কুমার দত্তকে কাজের তদারকী ও এম.বি লেখার দায়িত্ব দেন। যা সম্পূণরূপে অনিয়ম। আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু বলেন, তিনি উক্ত কাজের অনিয়ম হওয়ার কথা উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছেন। জানানোর পরও চুনারুঘাট উপজেলা প্রকৌশলী ওই ব্রীজ নির্মাণে অনিয়ম থাকা সত্বেও রহস্যজনক কারণে কোন পদক্ষেপ নেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতা ও প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলমকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আতাত করে ওই কাজটি তরিঘরি করে সম্পন্ন করেন বাহুবলের ঠিকাদার আব্দুল কাদির। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বিহীত ব্যবস্থার দাবি জানান এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে ব্রীজ তিনটির এপ্রোচ ধেবে গেছে। তিনি আরো বলেন ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রীজদ্বয় সংস্কার করে দেবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর