,

নবীগঞ্জে এখন গাছ রোপন ও মাছ চাষের কদর বেশি

এস.এস. আহমদ ॥ যুগের পর যুগ যারা ছিলেন বিমুখ। এখন ঐ লোকই মনোনিবেশ করছেন বৃক্ষ রোপন ও মাছ চাষের দিকে। সরকারের বিভিন্ন শ্লোগানকে তারা সাদরে গ্রহন করে বদলাতে চাচ্ছেন পুর্বের ধ্যান ধারনা। যে ভুমি দীর্ঘ দিন অনাবাদি ছিলো এ ভুমি ও স্থান এখন আবাদ করে তারা বৃক্ষ রোপন ও মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আবার অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এবং অনেকে হতাশা থেকে ফিরে পেয়েছেন এক সোনালী স্বপ্ন। তারা এখন বেছে নিচ্ছেন বাড়ির আশ-পাশের অনাবাদি ভূমি, জমিন সীমানা, পুকুর পাড়, এবং ঝোঁপ জংগল পরিস্কার করে বৃক্ষ রোপন ও মাছ চাষ করার উপযোগী ভুমি তৈরি করছেন। তারা মনে মনে অংক ও হিসেব নিকেশ করে দেখছেন আজ থেকে এক যুগ পর ফিশারির ও গাছ বিক্রি তাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার চালাতে পারবে। এমন ও দেখা গেছে, প্রবাস থেকে দেশে এসে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ভুমি ক্রয় করছেন এবং তারা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ সারি বদ্ধ ভাবে রোপন করছেন এবং যেখানে কৃষি জমির উপযুগী ছিলো না ঐ ভুমিতে বৃক্ষ রোপন করছেন। অপরদিকে কালের বিবর্তে দেশী মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। দেশী-বিদেশী মাছ চাষের দিকে ও ঝুঁকছেন নবীগঞ্জের লোকজন। তারা এখন বাড়ির পুকুর, বাড়ির আঙিনার জলাশয়, ছোট ছোট ডোবা ও বড় বড় পুকুর খনন করে দেশী ও বিদেশী জাতের মাছ চাষের দিকে মনোনিবেশ করছেন। হিসেব করে দেখা গেছে নবীগঞ্জ উপজেলায় ও ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে প্রায় পৌনে চারশ গ্রাম রয়েছে। বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন এখন তারা তাদের বাড়ির পুকুরে, জলাশয়ে এবং ভুমি ক্রয় করে মাচ চাষ করেছেন। অনেকে ওই পেশা একমাত্র তার আয়মূলক পেশা হিসেবে বেচে নিয়ে মনোনিবেশ করছেন তার দিকে। বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও সংস্থার নিকট থেকে ঋন গ্রহন করে তারা মাছ চাষ করছেন। অনেকে দীর্ঘ দিন প্রবাসের থাকার পর দেশে এসে এখন ওই পেশার দিকে মনোনিবেশ করছেন। ইতিমধ্যে অনেকে নতুন ভুমি ক্রয় করে বড় বড় ফিশারি তৈরি করছেন। অনেকে হাওর এলাকায় কৃষি জমিতে ধানের বদলে মাছ চাষ করছেন এমন ও দেখা গেছে বিগত দিনে বারো মাস যারা বাজার থেকে মাছ কিনে এনে পরিবারের হাতে দিতেন। তারা এখন তারা নিজ নিজ পুকুর ও ফিশারির মাছ ধরে খাচ্ছেন। এবং বাড়তি আয় করতে তারা বাজারে কৌশলে বিক্রি করাচ্ছেন। একদিকে যেমন মাছ চাষের দিকে ঝুকছেন নবীগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন। অপরদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই। এভাবে মাছ চাষের দিকে আরো মনোনিবেশ হলে এক সময় বাজার খেকে মাছ ক্রয় করার মতো কেহ পাওয়া যাবেনা বলে বিশিষ্টজন মনে করছেন। সব দিক মিলিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে দল মত নির্বিশেষে নিজ নিজ উদ্দ্যেগে বৃক্ষ রোপন, মাছ চাষ করে ভবিষ্যত সোনালী জীবন গড়া সম্ভব বলে মনে করছেন সচেতন মহল। বৃক্ষ রোপন ও মাছ চাষ করতে নবীগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকদের দিকে দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও দাতা সংস্থার সুদৃষ্টি দিলে আরো ব্যাপক আকারে তার দিকে মনোনিবেশ করবে জনগণ। এক সময় তারা নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর