,

নবীগঞ্জে গুঙ্গুরজুড়ি হাওর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে থানায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের গুঙ্গুরজুড়ি হাওর থেকে শিপন মিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিএনপি নেতা কারী আব্দুল হান্নানকে প্রধান আসামি করে গত ১৮ আগষ্ট ২০১৭ইং তারিখ ১১ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হলেন- কারী আব্দুল হান্নানের পুত্র মোঃ আবুল মোহিত, মৃত- ফিরোজ মিয়ার পুত্র আজিজ আহমেদ মেরাজ, মৃত- মুন্সী আব্দুল আলীর পুত্র মোঃ কারী আব্দুল হান্নান ও মোঃ আল মুহাইমিন, মৃত- গোলাপ মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম, মতব্বির মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন, চাদ উল্লাহর পুত্র আবুল বাশার, মৃত- আঙ্গুর মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া, হান্নান মিয়ার পুত্র খলিল মিয়া, মৃত- জয়নাল আবেদিনের পুত্র সোহেল মিয়া, চাদ উল্লাহর পুত্র আবুর হাসান সহ তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন বাদী মৃত শিপন মিয়ার পিতা- সিদ্দিক মিয়া। তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, গত ১৪ আগষ্ট তার ছেলে শিপন মিয়া স্থানীয় ইমামবাড়ী বাজারে যান বাজার সওদা করতে, এরপর আর শিপন বাড়ি ফিরেনি। গত বৃহস্পতিবার ১৭ আগষ্ট গ্রামের পূর্বদিকের গুঙ্গুরজুড়ি হাওরের মৌদনি নামক স্থানে শিপন এর লাশ পড়ে থাকতে দেখে প্রত্যদর্শীরা, পুলিশকে খবর দিলে, পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ওইদিনই বিকেলে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন। সূত্র জানায় সিদ্দিক মিয়ার ভায়রা ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলাল চৌধুরীর সাথে রাজনৈতিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল আসামিপক্ষের। এরই জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল বাতেন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত ভাবে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ সাইফুল নামের এক জনকে আটক করা হয়েছে। আসামিরা সবাই বিএনপি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং মৃত শিপন মিয়ার বাবা ১১ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করেছেন ওসি আরো জানান আসামিদের দলীয় পরিচয় যাই হোক আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর