,

মাধবপুরের ১৫শ হেক্টর ফসলি জমি শিল্প কারখানার পেটে

 

মোহাঃ অলিদ মিয়া ॥ মাধবপুরের ১৫শ হেক্টর ফসলি জমি শিল্প কারখানার পেটে পুড়েছে। উপজেলার এ বিরাট পরিমান ফসলি উর্বব ভূমি গ্রাস করায় চাহিদানুযায়ী খাদ্য উৎপাদনে বড় ধরনের ব্যাঘাতের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, গ্যাস ও বিদ্যুতের উৎপাদন কেন্দ্র হওয়ার সুবিধার্থে দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্টান মাধবপুরে এসে কারখানা তৈরী করছে। উপজেলার মোট ২৯ হাজার ৪শ ৫০হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে বিগত ৫ বছরে ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বাঘাসুরা, নয়াপাড়া, জগদীশপুর ও শাহজাহানপুরে ১ হাজার হেক্টর ফসলি জমিগুলো ক্রয় করে শ্রেনী পরিবর্তন করে টাইলস, রং, গার্মেন্টস, খাদ্য ও স্পিনিংসহ বিভিন্ন কারখানা তৈরী করা হয়েছে। বাকী ৭টি ইউনিয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ৫শ হেক্টর জমি শিল্পকারখানার অধিনে রয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও কোন কোন কারখানার ভিতর উল্লেখযোগ্য পরিমান সরকারের ভিপি/অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে, যেগুলোতে অন্যান্য ভূমির মত বছরে কমপক্ষে ২টি ফসল উৎপাদন হতো। সঠিকনীতি প্রনয়ন ব্যতিত স্থাপিত অনেক শিল্পের বর্জ্যে পার্শ্ববর্তি ফসলি জমি, খালের পানি নষ্ট করায় ওই অঞ্চলের ফসল উৎপাদন দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। শিল্পে উন্নয়ন আমাদের জন্য অত্যান্ত খুশির সংবাদ তবে সঠিক নীতি অনুসরন করে শিল্পস্থাপনের ক্ষেত্রে উর্বব ফসলি জমিগুলোর পরিবর্তে অনুবর্বর, পতিত জমি ব্যবহারের দাবী জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায়। শিল্পকারখানা তৈরী হওয়ায় এ অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদেশী নাগরিক এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজনের কর্মসংস্থান তৈরী হওয়ায় জনবসতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ধিত জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের চাহিদাও বেড়েছে। বৃহৎ এ জনসংখ্যার খাদ্য জোগান দিতে উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল হক জানান-স্বল্পকালিন জাতের বীজ দিয়ে চাষাবাদ, অধিক ফলনশীল উন্নতজাত ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ইতিমধ্যে আমরা উপজেলা অনাবাদি জমিগুলো আবাদের আওতায় অনতে শুরু করেছি। সরকার সৌরবিদ্যুত চালিত গভীর নলকূপ ও খাল খনন করে চাষাবাদের সুবিধা করে দিচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর