,

স্বাধীনতার বিরোধীদের পরাস্ত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে -মহান স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী

মতিউর রহমান মুন্না ॥ স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতাকারী দেশাদ্রোহীরা স্বাধীনতার জয়বাংলা শ্লোগান না দিলেও দেশে আজ কোটি কোটি মানুষ জয় বাংলা শ্লোগান দিচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের সফল ২য় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সরকার দেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য যে সুযোগ সুবিদা চালু করেছেন তা বাংলাদেশের অন্যতম দৃষ্টান্ত। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র ছিল বলেই আজ তা আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশে আত্মস্বীকৃত রাজাকার, আলবদরা আজও আলদ সাপের মতো ঘাপটি মেরে বসে আছে। যেকোন মুহুর্তে দেশের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রেখে তাদের চিহ্নিত করে প্রতিহত করে চলতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন স্বাধীনতার বিরোধীদের পরাস্ত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের তাৎপর্য এবং উন্নয়ন অগ্রগতি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, নবীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম, মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রউফ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর উদ্দিন (বীরপ্রতীক), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ নাজরা চৌধুরী, থানা অফিসার ইনচার্জ এম.এম আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ, কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট জাবেদ আলী, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মালিক, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মৌলদ হোসেন কাজল, মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রফিক, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দিলারা বেগম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লোকমান আহমদ খান, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম কুমার পাল হিমেল, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি দুলাল চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কমান্ডের যুগ্ম আহবায়ক গৌতম কুমার দাশ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান নিজামুল হক চৌধুরী প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ইমাম আব্দুল করিম, গীতাপাঠ করেন  সাংবাদিক উত্তম কুমার পাল হিমেল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিজয় ভুষন রায়, নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল গফুর চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ইসতিয়াক আহমদ জিলু, সময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্না, সাংবাদিক সলিল বরন দাশ, ছনি চৌধুরী, পজীব কর্মকর্তা শাকিল আহমদ, বিপুল চক্রবর্ত্তী, সুব্রত দাশ, আশফাক উজ্জামান চৌধুরী, মোঃ সালেহ আহমদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব রতœদীপ দাশ রাজুসহ বিভিন্ন সংগঠন ও কর্মকর্তাবৃন্দ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল, সুর্য্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির ও স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জে,কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুলিশ আনসার ভিডিপি স্কাউট, গার্লস গাইড, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা, ক্রীড়ানুষ্টান ও পুরস্কার বিতরণ।


     এই বিভাগের আরো খবর