,

হবিগঞ্জে যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রেমের টানে নারায়নগঞ্জ থেকে বাহুবল উপজেলার জয়পুরে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক সুন্দরী যুবতী। শুধু তাই নয়, লম্পটরা তাকে সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দিয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ভোররাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।  এর আগে মঙ্গলবার রাতে ধর্ষনের স্বীকার নাজমা বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ সহ এক জনকে অজ্ঞাতকরে মামলা দায়ের করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে বাহুবল মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। গ্রেফতারকৃত ধর্ষণকারীরা হলেন উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ছায়েদ আলী (৪৫) ও একই গ্রামের তৈয়ব খানের ছেলে মোঃ এমরান মিয়া (৩৫)। ওই যুবতী জানায়, সে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার দিঘিবরাবর গ্রামের মৃত মনোয়ার হোসেনের কন্যা। তার একটি বিয়ে হয়। ৬ মাসের মাথায় স্বামী মারা যায়। পিতার অভাব অনটনের সংসারে সে গার্মেন্টেসে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। একটি অনুষ্ঠানে বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের তৈয়ব খার কন্যা লিপি আক্তারের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। লিপি তার ভাই বাহুবল উপজেলা পরিষদের পিয়ন আলমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। গত সোমবার দুপুরে আলম ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। নাজমা তাকে বিয়ের কথা বললে আলম জানায় রাতে তাদের বিয়ে হবে। রাতে একটি নির্জন বাড়িতে নাজমাকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাতভর আলমসহ বেশ কয়েকজন যুবক তাকে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে ছ্যাকা দেয়। গত মঙ্গলবার সকালে তাকে রাস্তায় ফেলে দিলে মুর্মুষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) গোলাম দস্তগীর জানান, গনধর্ষনের অপরাধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। বাহুবল মডেল থানার ওসি মাসুক আলী জানান, দুইজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর