,

নবীগঞ্জে তিন অবাধ্য পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা করলেন মা

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে তিন অবাধ্য পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন গর্ভধারিণী মা ফুলবানু বেগম। জায়গা জমি জবর দখল, হামলাসহ নানা অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি হবিগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামের মৃত তোয়াজ উল্লার স্ত্রী ফুলবানু বেগম বাদি হয়ে গত ২৪
জানুয়ারী নিজ পুত্র আব্দুল ছালাম, আলেক উদ্দিন, দিলাছ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার তিন অবাধ্য পুত্ররা দীর্ঘদিন ধরে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এনিয়ে একাধিকবার গ্রামের মুরুব্বীয়ান শালিস বিচারে করলে তারা মাকে আর নির্যাতন করবে না মর্মে অঙ্গীকার করে। ফুলবানু বেগম মামলায় আরো উল্লেখ করেন, তার স্বামী জীবিত থাকাস্থায় সহায়-সম্পত্তি প্রত্যেক ছেলে মেয়ের মধ্যে বন্টন করে দেন। তাদের নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন স্বামী তোয়াজ উল্লাহ। এর কিছু দিন পরই তার পুত্ররা টাকা না দিলে ফের নির্যাতন শুরু করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তাকে। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েন ওই বৃদ্ধ মহিলা। অবশেষে আদালতে সিআর মামলা ৪৯/২০১৮ ইং দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ধার্য্য তারিখে আসামী আব্দুল ছালাম (৪০), আলেক উদ্দিন (৪৩), দিলাছ উদ্দিন (৩০) এর জামিনের আবেদন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ১৮ ইং তারিখে মাতা ফুলবানু বেগমের উপস্থিতিতে আদালত আসামীদ্বয়কে আপোষের শর্তে পরবর্তী ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত অস্থায়ী জামিন দেয়। এরপর আসামীরা জেল থেকে বের হয়ে তারা তাদের মায়ের সাথে কোন আপোষ মিমাংসা না করে পুনরায় অন্যায় অত্যাচার বাড়িয়ে দেয়। এমনকি বাদীনীর বসতঘরের পানির লাইন জোর পুর্বক বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেই সাথে বাদীনী এবং স্বাক্ষিগনকে মামলা তোলে নেয়ার জন্য এই বলে হুমকি দিচ্ছে। মামলা না তোললে  খুন করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা। আসামী আলক উদ্দিন অস্থায়ী জামিনে এবং আসামী আব্দুল ছালাম, ও দিলাছ আদালতে হাজিরা না দেওয়া আদালত তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। মামলার বাদী জানান, গত  ৩০ শে মার্চ শুক্রবার দুপুর ১২ টার সময়  আসামী আলেক উদ্দিন, তার পুত্র শায়েক আহমদ, সাজন মিয়া, তার বসত ঘরে আক্রমণ করে ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং তাকে মারপিট করে। এমনবি হুমকি দেয় আগামী ধার্য্য তারিখে কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিয়ে মামলা পরিচালনা করিলে তাকে হত্যাকরে লাশ বস্তাবন্দী করে কুশিয়ারা নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। এ  ব্যাপারে বাদীনী ফুলবানু বেগম বিজ্ঞ আদালতে একটি দরখাস্ত দাখিল করিলে আদালত সুষ্টু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে নবীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন। বর্তমানে মাতা ফুলবানু বেগম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন এবং আসামীদের ভয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে বাদিনী ফুলবানু বেগম প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর