,

অনুমতি ছাড়া এক কিশোরের নৌকায় চড়ার জের, বাহুবলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ শিশুসহ শতাধিক লোক আহত

মনিরুল ইসলাম শামিম ॥ বাহুবলে অনুমতি ছাড়া কিশোরের নৌকায় চড়ার জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংষর্ষে শিশুসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের সিলেট, হবিগঞ্জ ও বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের মুদাহরপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।  প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের মুদাহরপুর গ্রামের নুরাজ মিয়ার পুত্র আব্দুল রহমান (১৫) বর্তমান মেম্বার আব্দুর রেজ্জাকের নৌকায় অনুমতি ছাড়া চড়লে মেম্বারের লোকজন তাকে মারধোর করে। এমন সংবাদ কিশোর আব্দুর রহমানানের স্বজন মাওলানা সালামের লোকজনের কাছে পৌছলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুর রেজ্জাকের পরে লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ অবস্থায় আব্দুর রেজ্জাকের লোকজন পাল্টা হামলা চালালে মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। খবর পেয়ে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের দায়িত্বরত এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে নেন। দুই ঘন্টাব্যাপী উভয় পক্ষে শতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের মাঝে মুদাহরপুর গ্রামের মৃত হায়দর আলীর পুত্র ইউসুফ আলী (৩৫) কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং একই গ্রামের আব্দুল মতলিবের পুত্র হাবিবুর রহমান (২৬), মৃত রশিদ আলীর পুত্র আব্দুল বারিক (৩০) ও আব্দুল গফুরের পুত্র সফর আলী (৬০) কে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও মুদাহরপুর গ্রামের হেকিমের পুত্র হারুন মিয়া (৪০), নওয়াব উল্লার পুত্র ঠান্ডা মিয়া (৫০), মোঃ আহাদের পুত্র মামুন মিয়া (২০), আজিম উদ্দিনের পুত্র আজিজুর (৩০), খোরশেদ আলীর পুত্র আহাদ আলী (৫৪), নুরাজ মিয়ার পুত্র মোশাহিদ (৩০), ফতু মিয়ার পুত্র মোজাহিদ (৩৩), মৃত তোরাব আলীর পুত্র আক্কাস আলী (২৫), হায়দর আলীর পুত্র নূর আলী (৪০) ও ইমরান আলী (২৪), মরম আলীর পুত্র আসাদ মিয়া (৫৩), রশিদ আলীর পুত্র আব্দুন নূর (৪০), শাহেদ আলীর পুত্র আব্দুল খালেক, ইয়াদ আলীর পুত্র আব্দুর রহমান (৪৫), আব্দুর রশিদের পুত্র আরব আলী (৪৫), আব্দুস সালামের পুত্র মোহাম্মদ আলী (১৫), মৃত শাহেদ আলীর পুত্র আব্দুস সালাম (৬০), আব্দুল কালামের পুত্র জাকারিয়া (৮), আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দুল কালাম (৩৫), আজমান উল্লার পুত্র বশির মিয়া (৩০), রহমান উল্লাহর পুত্র বরকত আলী (৩০), কিতাব আলীর পুত্র নূরুল হক (১৯), কাজল মিয়ার পুত্র এংরাজ (৪০) ও আব্দুল মতলিবের পুত্র আব্দুস ছোবান (২৭) কে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর