,

ইনাতগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটি নির্বাচনের স্থগিত হওয়া ফলাফল অন্ধকারে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের স্থগিত ফলাফল গতকাল সোমবার উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে পূনঃ গণনার পর ঘোষণা করার কথা থাকলেও প্রার্থীদের দ্বিধাবিভক্তির কারণে শেষ পর্যন্ত ফলাফল স্থগিতই রয়ে গেল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব দিয়ে সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল ইনাতগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৬টি পদের জন্য ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ভোট গণনার সময়। নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার মনিরুল ইসলাম সাংগঠনিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একজন প্রার্থীর ভোট হিসেবে ২০ ভোট বেশী দেখান। যদিও তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন এটা ভুল বশতঃ হয়েছে। এজেন্টের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার এ সংবাদটি প্রার্থীর কাছে আসলে ওই প্রার্থী সাথে সাথে বাজারে বিজয় মিছিল করেন। পরে পূনরায় ভোট গণনা করলে দেখা যায় তিনি পরাজিত হয়েছেন। পরে অপর প্রার্থী ও বিজয় মিছিল করেন। শুরু হয় উত্তেজনা। এ সময় বিভিন্ন পদে প্রদ্বিন্দ্বিতাকারী কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করে ভোট বাতিলের দাবী জানান। তাদের দাবী একটি পদে যখন অনিয়ম করা হয়েছে। অন্য পদে ও এমনটি করা হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান ঘটনাস্থলে এসে প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করে ভোটের ফলাফল স্থগিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করার বিষয়ে আশ^স্থ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সকল প্রাথীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত তৌহিদ-বিন হাসান। এ সময় স্ব স্ব প্রাথীর এজেন্টের মাধ্যমে যারা বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি জেনেছেন, তারা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ভোট পূনঃ গণনা করে স্থগিত ফলাফল ঘোষণা করার দাবী জানান। অপর দিকে অঘোষিতভাবে এজেন্টের মাধ্যমে যারা পরাজিত হবার বিষয়টি জেনেছেন, তারা ভোটে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বাতিলের দাবী জানান। উভয়ের বক্তব্য শুনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশীদকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোটারগণ কি চান তাদের হাঁ বা না জবাব নিয়ে সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রার্থীদের পক্ষ থেকে সমাধানের কোন সুযোগ পাইনি। না পাওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধান করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছি।


     এই বিভাগের আরো খবর