,

রমজান মাস কে সামনে রেখে জগন্নাথপুরের হাট-বাজারে ভেজাল পণ্যে সয়লাব

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ॥ পবিত্র মাহে রমজান কে সামনে রেখে গ্রামের হাট-বাজার গুলো ভেজাল পণ্যে সয়লাব হতে শুরু করেছে। গ্রাম প্রধান বাংলাদেশে বেশীরভাগ মানুষের বসবাস প্রত্যন্ত গ্রামে। সেই সুবাদে গ্রামীণ জনসাধারণ তাদের নিকট হাট-বাজার গুলোতেই নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেন। এ ছাড়াও শহরে বসবাসরত মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা কিছুটা কম থাকার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল পণ্য সামগ্রী ক্রয়বিক্রয়ের জন্য গ্রামের বাজার গুলোই তারা বেচে নিয়েছে। নিষিদ্ধ ফরমালিন সহ ভেজাল পণ্য ক্রয়বিক্রয় রোধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শহরঞ্চলে ও বৃহত্তর বাজার গুলোতে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। এসব ভেজাল বিরোধী অভিযানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে গ্রামের ছোট বাজার গুলোতে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত তেমন একটা হয়না। যার ফলে অতি মুনাফা লোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল পণ্য বেচাকেনার জন্য গ্রামের ছোটবড় বাজার গুলোকে নিরাপদ মনে করে তাদের ভেজাল ব্যবসা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন নামের কোম্পানির আকর্ষনীয় মোড়কে পণ্য সামগ্রী বাজারে বেচাকেনা করতে দেখা যায়। ভেজাল পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে নিন্ম মানের প্রসাধনী, কনফেকশনারী, চকলেট, ড্রিংক, সোয়াবিন তৈল সহ বিভিন্ন প্রকার মসলা। এসব ভেজাল পণ্য ব্যবহারের ফলে ক্রেতাসাধারণের নানা সমস্যাদি দেখা দেয়। নিন্ম মানের প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারে মুখে ব্রণ, মাথার চুল পড়া ও চর্মরোগ হতে পারে। এ ছাড়াও সোয়াবিন তৈলের নামে স্বাস্থ্যের জন্য তিকর পামওয়েল, গুরো মরিচ, হলুদ, ধনিয়া ও গরম মসলা জাতের পণ্য খাওয়ায় গ্যাসষ্ট্রিক সহ পেটেরপিড়া জনিত নানা রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।বিশেষ করে শিশুদের নানা মুখরোচক খাবারে ভেজাল বেশি থাকে। পটেটু,আচার,বিস্কুট ইত্যাদি শিশুর খাবার গুলো একেবারেই নিন্ম মানের।অল্প দামে ক্রয় করে বেশী মূল্যে বিক্রয়ের জন্য একশ্রেণীর অসাধু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা ভেজাল পণ্য দিয়ে গ্রামের সরলমনা জনসাধারণের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছেন। ভেজাল পণ্যের প্যাকেটে বিএসটিআই অনুমোদিত লিখা থাকলেও প্রকৃতপে বেশীরভাগ ভেজাল পণ্যে বিএসটিআইর অনুমোদন থাকেনা।নকল প্যাকেটে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রয় করা হয়। সরজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় এসব ভেজালের আলামত। গ্রামের বাজার গুলোর মধ্যে উপজেলার রানীগঞ্জ, শিবগঞ্জ, রসূলপুর, বড় ফেছী, স্বাধীন বাজার, রৌয়াইল, মিরপুর, সৈয়দপুর, কলকলি, নয়াবন্দর, চিলাউড়া বাজার সহ অন্যান্য বাজারে ভেজাল পণ্যের নিরাপদ ব্যবসা কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।  গ্রামের বাজার গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় অনেকটা নিরাপদেই ব্যবসায়ীরা তাদের লাভ জনক এই ভেজাল পণ্যের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা শুধু নিন্ম মানের ভেজাল পণ্য বিক্রয়ই করেনি মেয়াদউত্তীর্ন পণ্য ও বিক্রয় করছে। বিশেষ করে রমজান মাসকে সামনে রেখে গ্রামের হাট-বাজারে ভেজাল সামগ্রী অবাধে আসতে শুরু করেছে। গ্রামের বাজার গুলো থেকে এসব ভেজাল পণ্য রোধে ক্রেতাভোক্তা অধিকার আইনের বাস্তব প্রয়োগ ও ভ্রাম্যমান আদালতের নিয়মিত তৎপরতা প্রয়োজন।


     এই বিভাগের আরো খবর