,

বানিয়াচংয়ে শিলাবৃষ্টিতে ২শ’ হেক্টর জমির ধান নষ্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচংয়ে শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ২শ’ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ   জমিগুলোতে আর কাস্তে লাগানো যাবে না বলেই দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ শিলাবৃষ্টি হয় বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর ও মক্রমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওড়ে।  হবিগঞ্জের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান  বলেন, ওই দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ধান শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে কৃষকদের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।  তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের দাবি, তাদের আরো অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফুর রহমান বলেন, সকালে ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। এ সময় এ ইউনিয়নের জোয়াইরা, মাইজ বন্দ, তবকিত্তা, আইড়ামুগুরসহ বেশ কয়েকটি হাওরের প্রায় ৪০০ হেক্টর জমি ক্ষতিগস্ত হয়েছে। ওই জমিগুলোতে কাস্তে ধরার মতো ধান নেই।  তিনি আরো বলেন, এলাকার কৃষকদের মধ্যে এখন শুধু হাহাকার। অনেক বর্গাচাষি রয়েছেন যাদের এখন পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।  তাই ক্ষতিগস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আহাদ মিয়া জানান, সকালে শিলাবৃষ্টিতে তার ইউনিয়নের অন্তর্গত কচুয়ারআব্দা ও সুলতানপুরসহ বিভিন্ন হাওরের প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগস্ত হয়েছে।  মক্রমপুর ইউনিয়নের হিয়ালা গ্রামের কৃষক জ্যোতিময় দাশ  বলেন, অনেক খরচ করে প্রায় ১৫ একর জমিতে ধান ফলিয়েছিলাম। সব প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করে ধান ঘরে তোলার সময় শিলাবৃষ্টিতে সব ধান নষ্ট হয়ে গেলো।  দৌলতপুর এলাকার ওবায়দুল হক  বলেন, শিলাবৃষ্টিতে এ এলাকার কৃষকদের স্বপ্ন মলিন করে দিয়েছে। কৃষকদের মধ্যে এখন শোকের মাতম চলছে। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন খন্দকার বলেন, শিলাবৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পেয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ  থেকে ক্ষতিগস্ত ক্ষেত পরিদর্শন করে সরকারি সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর