,

ইনাতগঞ্জে কুশিয়ারা অস্থায়ী প্রকল্পের বাঁধ নির্মান প্রকল্প চেয়ারম্যান বজলুর রশীদের খোলা চিঠি

প্রিয় ইনাতগঞ্জ তথা নবীগঞ্জ উপজেলাবাসী আমি বজলুর রশীদ চেয়ারম্যান ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, নবীগঞ্জ। আমার ইউনিয়নস্থ উমরপুর নামক স্থানে উমরপুর ব্রীজের লগ্ন উত্তরে এলাকার মানুষের ফসল রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রথমে ৭০ মিটার বাঁধ নির্মানের জন্য কার্যাদেশ দিলেও পরবর্তীতে প্রকল্প সংশোধনীর মাধ্যমে তা ৫০ মিটার পর্যন্ত করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নকশা অনুযায়ী যথানিয়মে কাজ শুরু করে প্রকল্পের কাজ সুসম্পন্ন করি এবং ইহা সড়েজমিনে এখনো বিদ্যমান আছে। বিগত ১৫/০৫/২০১৮ইং তারিখে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন সরেজমিন পরিদর্শন কালে প্রকল্পের কাজ সঠিক আছে মর্মে সন্তোষ প্রকাশ করে রি-মেজারমেন্টের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ বুঝে নেন এবং ৫০ মিটারের চুড়ান্ত বিল ১৬ মে ২০১৮ইং বুধবার প্রদান করেন। আমি এখন খোলা চিঠির কারণ উল্লেখ করতে চাই। প্রকল্পের কাজ চলাকালে কিছু কুচক্রী মহল আমার ব্যক্তিগত ইমেজ ও পারিবারিক মান সম্মান ক্ষুন্ন করার হীন মানষে নবীগঞ্জের কয়েকজন সংবাদকর্মীকে ভ’ল ও অসত্য তথ্য দিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবার পূর্বেই অতি উৎসাহিত হয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। গত ১২ মে ২০১৮ইং শনিবার নবীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকার ১ম পাতায় প্রধান সংবাদটি পড়ে আমি শুধু মর্মাহতই হইনি হতবাকও হয়েছি। কারণ সংবাদে বলা হয়েছে আমি ৩ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ করেছি মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বাকি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা তুলে নেয়ার পায়তারা করছি। এখানে আমি ওই পত্রিকার সম্পাদক সাহেবকে প্রশ্ন করতে চাই আমি যদি ৩ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ করে থাকি এবং সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা তুলে নেয়ার পায়তারা করি তা হলে ৫০ মিটার মাটির কাজ এবং সাথে ৩০০ বাঁশের আড় ও ৫০টি গাছের বল্লির কাজ করতে কি কোন টাকা লাগেনি? এছাড়া প্রকল্প থেকে মোট বরাদ্দের ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা যে কর্তন করে চুড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদগুলি যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দ্যেশ্য প্রনোদিত তা আজ প্রমানিত হয়েছে সরেজমিন তদন্ত শেষে চুড়ান্ত বিল প্রদানের মাধ্যমে। প্রিয় ইনাতগঞ্জবাসী আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আপনারা জনসেবার যে দায়িত্ব আমার উপর অর্পন করেছিলেন তা যে সঠিকভাবে আমি পালন করে যাচ্ছি এই লিখা জনসম্মুখে তুলে না ধরলে আপনাদের কাছে মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারীদের মুখোষ উন্মোচিত হতো না। প্রকৃত পক্ষে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। মুক্তিযোদ্ধে অংশ নেয়ার কারণে আমার চাচাকে না পেয়ে আমার পিতাকে রাজাকাররা পাকিস্তানিদের কাছে তুলে দিয়েছিলো। আমার আপন চাচা মোঃ কনা মিয়া স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নবীগঞ্জ উপজেলা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। আমার পিতা হাজী মোঃ হিরা মিয়া একজন প্রতিষ্টিত সামাজিক ন্যায় বিচারক হিসেবে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। আমার বড় ভাই মোঃ হারুনুর রশীদ বিচার বিভাগের একজন সফল,সৎ ও নিষ্টাবান বিচারক হিসেবে সুনাম অর্জন করে গেছেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি সুনামগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এছাড়া আমার বড় বোন এডভোকেট জোৎসা ইসলাম সিলেট জজ কোর্টে সিনিয়র আইনজীবি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সহিত আইন পেশায় যুক্ত আছেন। এছাড়া আমার ৪ ভাই যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। যার মধ্যে ব্যারিষ্টার মিজানুর রশীদ স্বপন পুলিশ ক্রাইম কন্ট্রোল নির্বাচনে ব্রাডফোর্ডশায়ার থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। অপর ভাইয়েরাও আইন পেশাসহ নানা পেশায় সুনামের সহিত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ওই পরিবারের সন্তান হিসেবে ইনাতগঞ্জ তথা নবীগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ আমাকে চেনেন ও জানেন। আমি আমার ব্যাপারে কিছু নাই বা লিখলাম। আমার দ্বারা এ ধরনের ঘৃন্য কাজ করা কি সম্ভব সেই বিচারের ভার ইনাতগঞ্জ তথা নবীগঞ্জবাসীর উপর ছেড়ে দিলাম। পরিশেষে আমি দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকায় আমার ছবি ব্যবহার করে ও দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার যে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মোঃ বজলুর রশীদ
চেয়ারম্যান
৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ,নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর