মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজী চোর পুলিশ লুকোচুরি, ঘনঘন লোডশেডিং ও খামখেয়ালিপনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নবীগঞ্জ উপজেলাবাসী। পবিত্র রমজান মাস আসার আগ থেকেই দিনেরাতে ঘন্টায় কয়েকবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়া ও বারবার লোডশেডিংয়ের কারণে ইফতার ও তারাবিহ নামাজ আদায়ে ব্যাঘাতসহ জনসাধারনে বিভিন্ন কর্মকান্ডে মারাত্মক ব্যাঘাত হয়ে আসছিল। কিন্তু এখনো থামেনি তাদের খামখেয়ালিপনা, বরং অব্যাহত রয়েছে লোডশেডিং। সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের অধীনে ওই উপজেলার প্রায় ৩ শত ৫৮টি গ্রামে প্রতিদিনই পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটে আসছে। এতে করে একদিকে পুরো রমজান মাসের ইফতার ও তারাবিহ নামাজে ব্যাঘাত ঘটছে, অন্যদিকে ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য শ্রেণী পেশার লোকজন পড়েছেন মারাত্মক বিপাকে। একদিন দুদিন নয় পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজি নিয়মিত সমস্যায় পরিনত হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ প্রায় কয়েক মাস যাবত সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার লাইনে নতুন কাজ ও পুরাতন কাজ পরিবর্তনের অজুহাতে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নবীগঞ্জবাসীকে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে রাখা হচ্ছে। সুস্পষ্ট কোন কারণ ছাড়াই প্রতিদিন বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজি যেন চোর পুলিশ লুকোচুরি খেলার ন্যায় জনমনে বাড়ছে মারাত্মক ক্ষোভ। এ জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা ও মান্দাতার আমলের বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীগন। এমনকি আসন্ন ঈদুল ফিতরের ঈদের কেনা-কাটা করতে নারী-পুরুষদের বিভিন্ন শপিং মহলে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। অনেকে ব্যবসায়ী দোকানে বিদ্যুৎ বিহীন থাকায় নিদিষ্ট সময়ে কেনা-কাটা করতে না পারায় এক দিকে যেমন সময়েল অপচয় হচ্ছে অন্য দিকে দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। পল্লী বিদ্যূতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটা লোডশেডিং নয় বিদ্যুত বিভ্রান্ত। সাধারণত বৃষ্টি বাদল বা ঝড় তুফানের দিনে এমন বিভ্রাট দেখা দেয়। কিন্তু বৃষ্টির দিন ছাড়াও এমন বিদ্যুত বিভ্রাটের বিষয়টি একেবারে নিত্যদিনের হয়েছে। কোন কোন সময় ১০ মিনিটের ব্যবধানে ২/৩ বার ঘটে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া ও ভেলকিবাজি। অনেক ব্যবসায়ী লোডশেডিংয়ের কারণে ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হওয়ার আশংকায় বিদ্যুত দ্বারা চালিত মেশিন বন্ধ করে রাখেন।