,

নবীগঞ্জে ইকবাল খুনের ঘটনায় ৪ ঘাতক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের ইকবাল মিয়া চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডে হত্যাকান্ডের ঘটনার মামলায় ৪ ঘাতককে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গত বুধবার রাতে উপজেলার মাইজগাওঁ গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ওই গ্রামের মহব্বত মিয়ার পুত্র মোঃ ছোটন মিয়া (২৪), মোঃ শিপন মিয়া (২০), মোঃ রাজন মিয়া (৩০) এবং মৃত রাশেদ উল্লার ছেলে মহব্বত উল্লা (উজা)। তাদের গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সুত্রে জানাযায়, প্রায় ৬ মাস পূর্বে চলতি বছরের বিগত ২০ জানুয়ারী নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মাইজগাওঁ গ্রামের আব্দুল মন্নানের পুত্র রুহুল আমিন (১৮) মহব্বত উল্লাহর পুত্র ছোটন মিয়া (২০), শিপন মিয়া (১৮), রাজন মিয়া মৃত আব্দুল মন্নাফ এর পুত্র আবু রায়হান (১৮) ও কৈখাই গ্রামের জুনু মিয়া (২০) গংরা বিএসআরএম কোম্পানির কাজের উদ্দেশ্য চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে একই গ্রামের ছায়েদ মিয়ার ছেলে ইকবাল মিয়াকে নিয়ে যান। সেখানে তারা সবাই মিলে সীতাকুন্ড থানাধীন বার আউলিয়া মাজার সংলগ্ন সেলিম হোটেলের সামনে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে একসাথে বসবাস করত। এরই মধ্যে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইকবাল মিয়ার বাড়িতে মোবাইলে জানানো হয় যে, তিনি (ইকবাল মিয়া) স্ট্রোকে মারা গেছেন। একসাথে কাজে যাওয়া ৬ জনের মধ্যে ছোটন মিয়া মোবাইলে এ খবরটি জানায়। খবর পাওয়ার পর তারা বিষয়টি চট্টগ্রাম থাকা ইকবালের চাচাতো ভাই তাহিদ মিয়াকে জানান। খবর পেয়ে তাহিদ মিয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে ইকবাল মিয়ার লাশ তাহিদ মিয়ার কাছে হস্তাান্তর করে পুলিশ। পরে লাশ নিয়ে তাহিদ মিয়া এবং ছোটন মিয়া বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। লাশ বহনকারী গাড়িটি শায়েস্তাগঞ্জে পৌছুলে খাবার খাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায় ছোটন মিয়া। রাত ১২টার দিকে ইকবালের মৃতদেহ নিজ বাড়িতে পৌছে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ইকবালের ভাই আব্দুল আউয়াল সীতাকুন্ড থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতার করে।


     এই বিভাগের আরো খবর