,

ইজারাকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জের নূরে আলম হত্যা

গত বছরে নবীগঞ্জের বিজনা নদীতে
থেকে উদ্ধার করা হয় লাশবিলের

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের নূরে আলম (৩২) হত্যাকান্ডের প্রায় ১ বছর পর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় আটক শাহ আলম (২৮) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে। বিলের ইজারাকে কেন্দ্র করে বিরোধের কারণে এ হত্যা বলে আদালতকে জানান আলম।  গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তি দেন আলম। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার  বিকেলে হবিগঞ্জ শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলমকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। আলম সদর উপজেলার নোয়াখাল গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে। ওসি আরও জানান, পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে আলম জানান, নূরে আলম হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাইল্লাইল বিলের একজন শেয়ার ছিলেন। এ বিলের ইজারাকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হলে তিনি অন্যান্য আসামিদের নিয়ে নূরে আলমকে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় বন্দি করে নৌকাযোগে নবীগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাজুরী হাওরের বিজনা নদীতে কচুরিপানার নিচে রেখে আসে। ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর নূরে আলমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। আলমের স্বীকারোক্তিতে যাদের নাম এসেছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। হবিগঞ্জের আদালত পরিদর্শক অহিদুর রহমান পিপিএম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আলমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।


     এই বিভাগের আরো খবর