,

বাহুবলে স্বর্ণের দোকানে জমজমাট সুদের ব্যবসা

জুয়েল চৌধুরী ॥ কোন ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই বাহুবল  উপজেলার মিরপুর বাজারে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে ব্যবসার আড়ালে চলছে জমজমাট সুদের ব্যবসা। সুদের ব্যবসা করে অনেকেই শুন্য থেকে কোটি পতি বনে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী অলংকার তৈরীর নিজস্ব কোন সরঞ্জাদি ও কারিগর নেই। অথচ অলংকার তৈরীর সাইন বোর্ড সাটিয়ে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছেন জমজমাট সুদের ব্যবসা। শুধু তাই নয়, কিছু অসাধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গ্রাহকদের সাথে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারনা করছেন। অনেক ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে বিভিন্ন ক্যারেট স্বর্ণ আমদানির নাম করে গ্রাহকদের কাছে ভেজাল স্বর্ণ বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে থেকে আসা ব্যবসায়ীদের সাথে গ্রাহকদের হরহামেসা দেন দরবার দেখা যায়। এছারা স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে সুদের ব্যবসা করে রাতা-রাতি কোটি প্রতি হওয়ার আসায়। কিছু অলংকার তৈরীর কারিগর মাত্র দুই-তিন বছরে অলংকার তৈরীর কারিগর থেকে নিজেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বনে যায়। অসহায় মানুষ টাকার প্রয়োজনে স্বর্ণ বন্ধক রেখে টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার সময় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা গ্রাহককে নিদিষ্ট সময় সীমা বেঁধে দেয়। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহক সুদ-আসল সহ টাকা দিয়ে বন্ধুকী স্বর্ণ ছারাতে না পারলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা গ্রাহককে আর বন্ধুকি স্বর্ণ ফেরৎ দেয়না বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার কিছু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গ্রাহকের বন্ধুকি স্বর্ণ, অন্য স্বর্ণ ব্যবসায়ী (মহাজন) কাছে দিগুন টাকায় গ্রাহকের স্বর্ণ বন্ধক রেখে জমজমাট সুদের ব্যবসা করছে। গ্রাহক বন্ধুকি স্বর্ণ ছাড়িয়ে নিতে এলে অসাধু ব্যবসায়িরা গ্রাহককে ভেজাল স্বর্ণ দেয়। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের কিছু অসাধু স্বর্ণ ব্যবসায়ি রাতের আধারে পালিয়ে গেছে। রাজস্ব বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী স্বর্ণ বিক্রির সময় প্রতিটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মূল্য সংযোজন কর চালান বই থাকা বাধ্যতামুলক। স্বর্ণ ব্যবসায়িরা যে পরিমান টাকার স্বর্ণ বিক্রি করেন, সেই পরিমান টাকার উপর ক্রেতারা মূল্য সংযোজন কর প্রদান করলেও অসাধু স্বর্ণ ব্যবসায়িরা সরকারের এ টাকা আত্মসাৎ করেন। মূল্যসংযোজন চালান বই-১১ অনুযায়ী, ব্যবসায়িরা সঠিক সময়ে সরকারকে কর পরিশোধ করল কিনা তা দেখভালের জন্য কর বিভাগের লোক থাকলেও কিছু অসৎ কর্মকর্তা ব্যবসায়িদের কাছ থেকে মাসহারা নিয়ে নিজের আখের গোছাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর