,

‘নবীগঞ্জে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০’ শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ

হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক হবিগঞ্জ একপ্রেস, দৈনিক হবিগঞ্জ সময়, দৈনিক বিবিয়ানাসহ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ‘নবীগঞ্জে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ গুলোর প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদগুলো সর্ম্পূন মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও মানহানিকর বটে। সংবাদের একাংশে লেখা হয়েছে, নবীগঞ্জের করগাঁও ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত কাচা মিয়ার ছেলে আব্দুল হক এবং পার্শ্ববর্তী তাজপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আঙ্গুর মিয়ার মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে গতকাল রোববার দুপুরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ কথাগুলো মিথ্যা, বানোয়াট। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, প্রায় ১৫ দিন পূর্বে আমার চাচাত্তো ভাই জসিম উদ্দিনকে তাজপুর গ্রামের আঙ্গুর, বাদশা, নুরুল, সেলিমসহ ১৫/২৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারপিট করে তার হাঁসের খামার থেকে জোরপূর্বক ২৭০টি হাঁস নিয়ে যায়। পরে ঘটনাটি আমরা মেম্বারসহ এলাকার মুরুব্বিয়ানদের জানাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমরা যাতে হাওরে হাঁস নিয়ে না যাই এজন্য আপত্তি দেয়। এ অবস্থায় গত রোববার দুপুর ১২ টার দিকে তাঁজপুর মাদ্রাসার নিকটে আমাদের নিজস্ব মালিকানাধীন জমিতে হাঁস নিয়ে গেলে হঠাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেলিম ও আঙ্গুরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার চাচাত্তো ভাই জসিম উদ্দিন, সিরাজুল, সিরাজ আহত হয়। এ সময় আমাদের খামার থেকে ৮৯০টি হাঁস নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ খবর পেয়ে আমার বড় ভাই আব্দুল হক, আজিজুল, নাজমুল এগিয়ে আসলে মাদ্রাসার সামনে আসা মাত্রই তাদেরকেও মারপিট করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসক আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তাদের অবস্থা আশংকাজনক। কিন্তু সাংবাদিক ভাইদের ভূল তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় এমন বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে। সঙ্গতকারণে আমি উক্ত মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই
প্রতিবাদকারী
রোমান মিয়া
পিতা: মৃত কালিশ মিয়া
গ্রাম: কুরিশাইল, রামপুর, নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর