,

বাহুবলে রাস্তা পাকাকরণের অভাবে চরম দূর্ভোগে প্রায় ১২ গ্রামের মানুষ

মনিরুল ইসলাম শামিম :: বাহুবলে এক কিলেমিটার সড়ক পিচঢালা না হওয়ায় যুগযুগ ধরে ১০/১২টি গ্রামের প্রায় ২৫/৩০ হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগ পোয়াচ্ছে। প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুমে এলাকার স্কুল-কলেজগামী শতশত শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার লোকজন কাঁদাযুক্ত এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। ভূক্তভোগীরা বলছেন রাস্তাটি পিচঢালা না হওয়ায় শুকনো মৌসুমেও পায়ে হেটে চলাচল করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় এমপি, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহু আবেদন-নিবেদন করার পরও প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের আওতাভূক্ত বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের লস্করপুর থেকে ফদ্রখলা হয়ে মিরপুর বাজারের উক্ত সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। সাত কিলোমিটার দূরত্বের সড়কটি দিয়ে রাউদগাঁও, কালুটুলা, ফদ্রখলা, কুটান্দর, কাইতপাড়া, লাকড়িপাড়া ও ফরিদপুরসহ ১০/১২ গ্রামের মানুষ হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, উপজেলা সদর ও জেলা সদরের যাতায়াত করেন। উক্ত সড়কের পূর্ব দিক তথা মিরপুর বাজার সংযোগ থেকে দুই কিলোমিটার জায়গা পাকাকরণ হয়েছে দীর্ঘদিন আগেই। আর পশ্চিম দিক থেকে শায়েস্তাগঞ্জ তথা জেলা সদরের সাথে সংযোগের লস্করপুর রেলগেইট থেকে তিন কিলোমিটার পরিমাণ রাস্তা পিচঢালা হয়েছিল প্রায় ৮/১০ বছর আগেই। সড়কের দুই পাশ থেকে পাঁচ কিলোমিটার পরিমাণ রাস্তা পিচঢালা হলেও মধ্যবর্তী এক কিলোমিটার রাস্তা পিচঢালা না হওয়ায় যুগযুগ ধরে উপজেলা ও জেলা সদরের কোন রকম সুবিধা ভোগ করতে পারেননি এলাকাবাসী। কাদাযুক্ত ঐ সড়ক দিয়ে বর্ষা মৌসুমে কোন রকম যানবাহন গ্রামগুলোতে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে এলাকাবাসী কাঁদাযুক্ত সড়ক দিয়ে বছরের পর বছর পায়ে হেঁটে চরম দূর্ভোগে চলাচল করছেন। এমনকি শুকনো মৌসুমেও সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ওই এলাকার গর্ভবতী মহিলাসহ অসুস্থ মানুষের হাসপাতালে আসা-যাওয়ায় মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে এলাকার সাধারণ লোকজন স্থানীয় এমপিসহ জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার আবেদন করার পরও কোন ফল পাচ্ছেন না। মনিরুজ্জামান রুমেল নামের এক ভূক্তভোগী জানান, বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো চলাচল করেই না এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করাটাও মারাত্মক কষ্টস্বাধ্য হয়ে পরে। এছাড়া শুকনো মৌসুমে রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টির কারণে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করেনা। ফলে আমাদের সীমাহীন দূর্ভোগে প্রতিদিন এক কিলোমিটার জায়গা পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে হয়। উপজেলা সহকারি প্রকৌশলী মোঃ আলফাজ হোসেন জানান, এমপি সাহেবের ডিও লেটারের মাধ্যমে এই এক কিলোমিটার সড়কের অনুমোদন অনেক আগেই আমরা পেয়েছি কিন্তু টেন্ডারের আদেশ পাইনি। তবে তিনি কবে নাগাদ এই আদেশ পাবেন তা কিছুই বলতে পারেননি।


     এই বিভাগের আরো খবর