,

বানিয়াচংয়ে বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে জনসভা

স্টাফ রিপোর্টার :: বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বলেছেন আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি চাই এদেশের মানুষ ভাল থাকুক, তাদের ভাগ্য উন্নয়ন হউক দু’বেলা পেট ভরে ভাত খাবে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল বুধবার বিকেলে বানিয়াচং উপজেলার ৯নং পুকড়া ইউনিয়নে ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে দড়ওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে দড়ওয়া মাঠে এলাকাবাসী কতৃক আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, আপনারা দুইবার ভোট দিয়ে আমাকে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমি আপনাদের ভোটের অমর্যাদা করিনি। আমি সব সময় আপনাদের পাশে থেকে উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। আমার উন্নয়ন কর্মকাÐে আপনারা সন্তুষ্ট হয়েছেন এটাই আমরা সার্থকতা। আবারও যদি আল্লাহ্ তায়ালা আপনাদের সেবা করার সুযোগ দান করেন নেত্রী যদি আমাকে নমিনেশন দেন আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাই তাহলে আপনাদের সকল দাবি-দাওয়া পূরণ করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। আমার কাছে দাবি করতে হয় না কারণ এলাকা সম্পর্কে আমার জানা আছে, আমি খোঁজে খোঁজে উন্নয়ন ও মানুষের সেবা করি। কারণ আমি মানুষকে ভালবাসি, মানুষ আমাকে ভালবাসে। গুণিজন বলে গেছেন ‘শুন হে মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’ গত ২ অক্টোবরে সড়ক দূর্ঘটনার পরে দেখেছি মানুষ আমাকে কতটুকু ভালবাসে। আমি মানুষের এই ভালবাসার ঋণ কখনও শোধ করতে পরবনা। আমি প্রথম যখন এমপি হয়েছি তখন হতাশায় পড়ে গিয়েছিলেন কিভাবে এই অবহেলিত এলাকাকে উন্নয়ন করা যায়। অনেক কষ্ট করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে বিগত দশ বছরে যে উন্নয়ন করেছি তা এখন আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছি না। একটা অভাবনীয় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে। তিনি প্রধানমন্ত্রী না হলে এত উন্নয়ন করা সম্ভব হতো না। সকল উন্নয়নের মূল কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে। উক্ত জনসভায় বক্তাগন বলেছেন, এমপি আব্দুল মজিদ খান মহোদয় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে পরামর্শ করে পরিকল্পনা অনুযায়ী সততার সাথে কাজ করে এলাকায় যে উন্নয়ন করেছেন, স্বাধীনতার পর কোন এমপি এত উন্নয়ন করতে পারেননি। আমরা উনার উন্নয়নে মুগ্ধ হয়েছি। আমরা যা প্রত্যাশা করিনি তার চেয়ে অনেক বেশি উন্নয়ন পেয়েছি। তিনি উন্নয়নের ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তিনি উন্নয়নের পাশাপাশি দলকে সুসংগঠিত করেছেন। দল এখন বড় হয়েছে, দলে নেতাকর্মী বৃদ্ধি পেয়েছে। ওনাকে যেভাবে আমরা কাছে পাই বা পেয়েছি অতীতে কোন এমপিকে এভাবে আমরা কাছে পাইনি। উনার উন্নয়ন সততা, দক্ষতা, আচার-ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ, আমাদের বিশ্বাস আগামীতেও জননেত্রী শেখ হাসিনা ওনাকে নমিনেশন দিবেন। উনি নমিনেশন নিয়ে আসলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভোট দিব পূণরায় এমপি নির্বাচিত করব ইনশাল্লাহ।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছাব্বির মিয়ার সভাপতিত্বে মানিক চৌধুরী পল্টুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুবিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, খাগাউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ শওকত আরেফিন সেলিম, বড়ইউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, নাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আজিজুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সংগঠন সম্পাদক আরজু মিয়া, বিশিষ্ট মুরুব্বী এরাজত মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা নিশিকান্ত তালুকদার, মুজিবুর রহমান,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহজাহান, দড়ওয়া স্কুলের সভাপতি সুজিত দাস, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আফরোজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জহুর আমীন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক কাজী আমীন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোফাচ্ছল হোসেন প্রমুখ।


     এই বিভাগের আরো খবর