,

হবিগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা ও সমাবেশের আয়োজন

নিজস্ব প্রতিনিধি :: প্রথমবারের মতো হবিগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো কওমী মাদ্রাসার কৃতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুরআন-হাদিসের আলোকে ‘সমাজ ও রাষ্ট্রে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের কুফল’ শীর্ষক এক রচনা প্রতিযোগিতা ও বিশাল সমাবেশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগর টাইটেল মাদ্াসার হল রুমে আয়োজিত এবং সংশ্লিস্ট মাদ্াসার প্রিন্সিপাল আল্লামা তোফাজ্জল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম, দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের সাধারন সম্পাদক হাফেজ শামছুল হক, আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গঠিত জেলা স্বাক্ষী ও ভিকটিম সুরক্ষা কমিটির মেম্বার ও হবিগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক মাওঃ শাহ নজরুল ইসলাম, সদর থানার ওসি মুহাম্মদ সহিদুর রহমান, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান। এছাড়াও অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, জেলা টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী ছানু মিয়া, রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি মোঃ হেকিম সহ নানা পেশার মানুষ। সমাবেশে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ উল্ল্যা কওমী শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও তাদের অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আপনাদের মমতাময়ী মা অনুধাবন করতে পেরেই সম্প্রতি এতবড় স্বীকৃতি দিয়েছেন। এখন আপনারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সনদের মাধ্যমে দেশ ও সমাজের বড় বড় পদে অধিস্থিত হতে পারবেন। আগামীতেও আপনাদের যে কোন সমস্যায় এই মমতাময়ী মা পাশে থাকবেন। যে মা উন্নয়নের পাশাপাশি এত কিছু করে এই দেশকে শান্তি আর উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে সকলের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে তার পাশেই আপনার-আমার দাড়াঁনো উচিত নয় কি। তিনি মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কওমী শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকদেরকে রুখে দাড়াতে অনুরোধ জানান। এ সময় কওমী শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকগণ হাত তুলে শেখ হাসিনার পক্ষে থাকার মনোভাব ব্যক্ত করে জানান দেন, তারা কখনও সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গীবাদ এই দেশে দেখতে চায় না। এদিকে সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা তোফাজ্জল হক ও অন্যান্য কওমী নেতৃবৃন্দ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা শুধু নয় তার কন্যা বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে একজন ধার্মিক মানুষ ও ইসলাম দরদী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর প্রথমবারের মতো কওমী মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকে মর্যাদা দিয়ে শেখ হাসিনা ইতিহাসের পাতায় স্মরনীয় স্থান করে নিয়েছেন। যা কওমীগণ কখনও ভূলবে না। এ জন্য শেখ হাসিনার পাশে থেকে দেশ থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের মূল শিকড় উৎপাঠনে কওমী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছে। অনুষ্ঠান শেষে জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে ওই প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর রচনা প্রতিযোগিতায় ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রæপে অংশ নেয়া ১০২ জন কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বিজয়ী ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীর হাতে সনদসহ পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।


     এই বিভাগের আরো খবর