,

মনোনয়ন বাতিল সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার: কাদের

সময় ডেস্ক :: বিএপির প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলে সরকারের সম্পৃক্ততার নিয়ে দলটির অভিযোগ নাকচ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি সম্পূর্ণ
নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইন আছে বাতিল করার। সরকার কোনোভাবেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত না। যদি তাই হত, তাহলে আমাদের সবচেয়ে বড় শরিক দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব বাদ পড়বেন, এটা কি আমরা চাইব? একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রোববার বাদ পড়েছেন ৭৮৬ জন। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির নামিদামি অনেকেই রয়েছেন। হাজী সেলিমের মনোনয়ন কেন বাদ হয়নি সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সংশয় ছিল হাজী সেলিম নির্বাচনি আইনে টিকবে কি না, সেক্ষেত্রে আমরা কিন্তু সেখানে দুইজন প্রার্থী দিয়েছি। কিন্তু তিনি আইনে টিকে গেছেন, এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের জয়ের পথ প্রশস্ত করতেই নামিদামি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মওদুদ সাহেব। খুব বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে জানানো হয়েছিল, তার মনোনয়নপত্রে কিছু ত্রুটি আছে। আমি তখন মন্তব্য করেছিলাম, মওদুদ আহমদ সাহেব নির্বাচন না করলে আমি খুব কষ্ট পাব। তা না হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন সেখানে হবে না। আমার মধ্যে কিন্তু এই মানসিকতা কাজ করে না।
মনোনয়নপত্র বাতিলের প্রতিক্রিয়ায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অলি আহমেদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অলি আহমেদ সাহেব আমাকে ফোন করেছিলেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে তিনি কিছু সমস্যা তুলে ধরেছিলেন। আমি তাকে বলেছি, এখন প্রশাসন, পুলিশ- সব নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারপরও আমি দলের সেক্রেটারি হিসেবে চেষ্টা করব তার এলাকায় যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোনোভাবে ক্ষুন্ন না হয়। আমি সেখানে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা কোনো অবস্থাতেই এক তরফা কোনো কিছু সৃষ্টি করে নির্বাচনে লড়াই করতে চাই না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র দুই চাকার একটি সাইকেল। এক চাকা ক্ষমতাসীন দল, আরেক চাকা বিরোধীদল। কোন চাকায় কে থাকবে এটা জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনই পোষণ করেন না। ফাঁকা বুলি দিতে চাই না, আমরা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের হুমকির প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর যে হুমকি দিচ্ছে, দেশের জনগণের স্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। এটাই আমি তাদের কাছে প্রত্যাশা করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিষ্কার হতে থাকে যে কারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে যাচ্ছে। এটা আপনারাও বুঝতে পারেন, আমার বলার দরকার নেই। কোনো ধরনের অহমিকা প্রকাশ করতে চাই না। কারোই অহংকার করা উচিত নয়। যদিও সাজে না এমন অহংকার প্রতিপক্ষ করছে। এই অহংকার কিন্তু পতনের কারণ। আজকে কাদের সিদ্দিকী নিজের মনোনয়ন বাতিলের পর হতাশায় কত কথাই না বলছেন। আমরা তাকে কোনো কটু কথা বলব না।


     এই বিভাগের আরো খবর