,

কিবরিয়া হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে নৌকায় ভোট দিন-এমপি আবু জাহির

স্টাফ রিপোর্টার :: জনগণ যখন বার বার নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে হবিগঞ্জকে ২য় গোপালগঞ্জে পরিণত করেছিল; তখন পরিকল্পিতভাবে বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। এই পারিকল্পনায় জঙ্গীদের পিছনে ছিল বিএনপি’র বড় বড় নেতারা। তদন্তে ইতোমধ্যে অনেক বিএনপি নেতার নাম চলে এসেছে। বিচার কাজ এগিয়ে চলছে। এই গ্রেনেড হামলায় হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের বিচার নিশ্চিত করতে আগামীতেও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শাযেস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মনডুরা ইউনিয়নে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, হবিগঞ্জের একটি অবহেলিত এলাকার নাম ছিল ব্রাহ্মনডুরা। অনেকেই এই জায়াগার নাম জানতো না। আমি এমপি হওয়ার পর ব্রাহ্মনডুরাকে নতুন ইউনিয়ন করেছি। এই ইউনিয়নে হয়েছে অনেক শিল্পায়ন। এখন এক নামেই সবাই ব্রাহ্মনডুরাকে চিনেন। ব্রাহ্মনডুরার জনগণ নৌকার পাশে থাকার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন বারাবার। শীত এবং বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আপনাদের এলাকায় আসার পর যেভাবে স্বতস্ফুর্ত সমর্থন পেয়েছি তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আবারো নির্বাচিত হলে ব্রাহ্মনডুরায় কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন করব ইনশাল্লাহ। এমপি আবু জাহির আরো বলেন, ২০০৮ সালে তৎকালীন অবহেলিত হবিগঞ্জের হাল ধরতে আপনারা আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছিলেন। তারপর দায়িত্ব পালনে এতটুকু অবহেলা করিনি। আমার নির্বাচনী এলাকার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছি নিরন্তর। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে আপনাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উন্নয়ন আমি করেছি। বিগত ১০ বছরে দুই উপজেলার প্রায় ১০০ কিলোমিটার সড়ক, হবিগঞ্জ-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জে আজ থেকে প্রায় দেড় বছর পূর্বেই ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া, হবিগঞ্জে ১০ তলা বিশিষ্ট চীফ জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণ, জনগণের প্রত্যাশার বাইরে হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ স্থাপন, আধুনিক সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং ৮ তলা ভবন নির্মাণ, লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু, বৃন্দাবন সরকারি কলেজে অনার্স মাস্টার্স চালু, ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য দুটি করে আলাদা হোস্টেল নির্মাণ এবং একাধিক একাডেমিক ভবন ও বিজ্ঞান ভবন নির্মাণ, হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ডাবল শিফট চালু, শায়েস্তাগঞ্জে উপজেলা প্রতিষ্ঠা, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন করেছি। লাখাইয়ে ১টি কলেজ ও একটি হাইস্কুলকে সরকারিকরণ করেছি। হবিগঞ্জ-লাখাইয়ে প্রায় সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করেছি। তিনি আরো বলেন, আগামী দিনগুলোতে আমি কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে চাই। যেমন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ৯০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ এবং অবকাঠামো নির্মাণ, একটি কৃষি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, একটি ইনডোর স্টেডিয়াম, প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কমপক্ষে একটি করে কলেজ, বিকেজিসি ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি ইনডোর স্টেডিয়ামসহ ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে আমার। এ সময় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান তিনি। এ সময় পৃথক জনসভায় উপস্থিত লোকজন হাত তুলে এমপি আবু জাহিরের বক্তৃতার প্রতি সমর্থন জানান এবং দলমত নির্বিশেষে তাকে নির্বাচিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোঃ আদিল জজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুকিত, আব্দুল্লাহ সরদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব হোসেন দিলু, সাধারণ সম্পাদক বদরুল করিম দীপন বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় মুরুব্বীয়ান এবং যুব সমাজ এতে বক্তৃতা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর