,

শায়েস্তাগঞ্জ গোল চত্ত্বর হকাদের দখলে ॥ দেখার যেন কেউ নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ পালিত হচ্ছে ট্রাফিক শৃংখলা পক্ষ। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে ট্রাফিক পুলিশ সচেতনতা, গাড়ির কাগজ পত্র যাচাই, মামলা জরিমানা অব্যাহত আছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কারও কোন দায় নেই! শায়েস্তাগঞ্জ গোল চত্ত্বরের ভেতরে পুরাতন কাপড়ের হাট বৃত্তাকারে লেগে আছে। ট্রাফিক পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনী রহস্যজনক কারনে নিস্কিয়। সারাদেশের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ, ৪টি জেলার  প্রায় ১ কোটি মানুষ সারাদেশের সাথে চলাচলের একমাত্র সড়ক পথ নতুন ব্রীজ। বিশেষ করে ঢাকা-সিলেট  চুনারুঘাট যেতে হলেই গোলচত্বর যেতে হয়। আর সেখানে পৌঁছলেই শুরু হয় ভোগান্তি। এক পাশ থেকে আরেক পাশে যেতেই লেগে যায় ১৫ মিনিট। কারণ গোলচত্বর ঘিরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকে তীব্র মানুষের জট। হকাররা দখল করে রেখেছে গোলচত্বর। ফুটপাতের অবৈধ দোকানগুলো এ ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে তোলে পথচারীদের। যার ফলে যানজট বেড়েই চলেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গোলচত্বরের পূর্বে চুনারুঘাট পুরাতন মহাসড়ক হাইওয়ের রাস্তা, পশ্চিমে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলা সড়ক রাস্তা। উত্তরে ঢাকা মহাসড়ক মাধবপুর উপজেলা। দক্ষিণে সিলেট মহাসড়ক বাহুবল উপজেলা, আর গোলচত্বরের চারপাশের সরকারি জায়গা দখলে করে গড়ে ওঠেছে দোকানপাট। আর গোলচত্বরে বসেছে কোথাও ফল, কোথাও পোশাক, আবার কোথাও মোবাইল এক্সেসরিজের দোকান। এসবের চাপে ফুটপাতও ব্যবহার অনুউপযোগী । ফলে গোল চত্বরের কোনো উপকারিতা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান গোলচত্বরকে ন্যুনতম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ববানদের সজাগ থাকতে হবে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বশির মিয়া বলেন, অবৈধভাবে হকাররা ব্যবসা করছেন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়য়েছে। এতে করে যেকোন সময় চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে হকাররা। অনেক সময় দেখা যায়, চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোলচত্বরে ডুকে পড়ে। এতে করে ক্রেতা বিক্রেতার প্রাণহানীর আশংকা রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর