,

বানিয়াচংয়ে এক অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং সদরের যাত্রাপাশা লামাপাড়া এলাকায় জনি আক্তার (২৪) নামে এক অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক হওয়ায় সন্দেহ আরও ঘনিভুত হচ্ছে। জনি ওই উপজেলার আব্দুস সালামের কন্যা। বানিয়াচং থানার এসআই আমিনুল ইসলাম সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করে। জনির পিতা আব্দুস সালাম জানান, দুই বছর আগে লামাপাড়া গ্রামের মদন উল্লার পুত্র মোক্তার হোসেনের সাথে জনি আক্তারের বিয়ে দেয়া হয। বিয়ের সময় উপঢৌকন হিসেবে মোক্তারকে অনেক জিনিসপত্র দিয়েছে। সম্প্রতি মোক্তার জিনিসপত্র বিক্রি কর বিদেশ চলে যায়। সেখানে কিছু করতে না পেরে আবার দেশে ফিরে এসে যৌতুকের জন্য জনির উপর নির্যাতন নিপীড়ন শুরু করে। বিষয়টি প্রায়ই জনি তাকে জানাত। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়। এরপরও তার পাষান হৃদয়ে জনির জন্য মায়া হয়নি। গত বুধবার পুনরায় যৌতুকের জন্য জনির উপর নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি জনি তার পিতাকে জানায়। এ সময় তিনি বাড়ির পাশের হাওরে কাজে ছিলেন। এক পর্যায়ে জনির ফোন বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিন বিকালে স্থানীয় মেম্বার ফোন করে আব্দুস সালামকে জানায়, তার কন্যা মারা গেছে। এর আগে অচেতন অবস্থায় গত বুধবার দুপুরে মোক্তার হোসেন জনিকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার জনিকে মৃত ঘোষণা করে। এক পর্যায়ে তরিগড়ি করে মোক্তারের বাড়িতে জনিকে নিয়ে এসে জনির মৃত দেহ গোপন করার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে লাশ রেখে মোক্তার পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, তার ৩ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা কন্যাকে মোক্তার হত্যা করেছে। তিনি তার বিচার চান। এসআই আমিনুল ইসলাম বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি তদন্ত আব্দুল কাইয়ুম জানান, মোক্তারকে খুজে না পাওয়ায় মৃত্যুটি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর পাওয়া যাবে।


     এই বিভাগের আরো খবর