॥ আনোয়ার হোসেন মিঠু ॥ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান নবীগঞ্জ জে.কে. উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮৪ ব্যাচের মেধাবী ছাত্র কৃষ্ণ পদ রায় পুলিশের সর্বোচ্চ বাংলাদেশ পুলিশ ম্যাডেল (বিপিএম-সেবা) পদক অর্জন করেছেন। গত সোমবার পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষ্ণ পদ রায়কে এ পদক প্রদান করেন। পেশাগত দক্ষতা, সততা ও আইনশৃংখলা উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়। সিলেট এম.সি. কলেজ থেকে এইচ.এস.সি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিভাগে অনার্স ও মাষ্টার্স শেষ করে জাতীয় দৈনিক দি ডেইলী স্টার পত্রিকায় যোগদানের মধ্য দিয়ে তার কর্ম জীবন শুরু হয়। কিছুদিন পর ১৯৯৬ইং সালে ১৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বগুড়া ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে সৈয়দপুর জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে শেরপুর ও চাঁদপুর জেলায় সততা, দক্ষতা ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ চাঁদপুর থেকে ডিসি রমনা ও ডিসি ডিবি’র দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ডিআইজি মর্যাদায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) এর দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে নবীগঞ্জ উপজেলার কৃর্তি সন্তান কৃষ্ণ পদ রায় চাকুরীতে সততা, নিষ্টা ও পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ বিপিএম ও পিপিএম (বার) পদকও অর্জন করেন। পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে গত ৭ নভেম্বর ২০১৮ইং তারিখে পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাঠোয়ারী এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া তাকে পদোন্নতি ব্যাজ পরিয়ে দেন। নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালিতলা গ্রামের মৃত গোপাল চন্দ্র রায় এবং রমা রানী রায়ের প্রথম সন্তান কৃষ্ণ পদ রায় পুলিশের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ২০০২ইং থেকে ২০০৩ইং সালে কসবো, ২০০৬ইং থেকে ২০০৭ইং সালে লাইব্রেরিয়া এবং ২০১২ইং থেকে ২০১৩ইং সাল পর্যন্ত সুদান এ জাতিসংঘের শান্তি মিশনে শান্তি রক্ষা কমিশনে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি পেশাগত দক্ষতা অর্জনে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। চাকুরীতে সততা, নিষ্টা ও পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ তাকে ২০১২ইং সালে প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক পিপিএম এবং ২০১৫ইং সালে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম পদক প্রদান করা হয়। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। উল্লেখ্য, ডিআইজি কৃষ্ণপদ রায়ের মাতা রমা রায়কে ঢাকা এবং সিলেট মহালয়া উদযাপন পরিষদ কর্তৃক রতœগর্ভা মাতা পদক প্রদান করা হয়।