স্টাফ রির্পোটার ॥ হবিগঞ্জ সদর লাখাই আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেন, প্রতিটি কাজের মধ্যে জবাবদিহীতা রাখতে হবে। নিজেদের ভোগ বিলাশের কথা চিন্তা না করে সাধারণ মানুষের সেবার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। সরকার মানুষের দুরগড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেওয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু সিলেট বিভাগের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর ক্ষেত্রে হবিগঞ্জ জেলা এগিয়ে, তাই এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকারী নিদের্শনা মেনে হাসপাতালে অবস্থান করে মানুষকে সেবা দিতে হবে। তিনি গতকাল হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কর্তৃক আয়োজিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষনিক স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ কুতুব উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক স্থানীয় সরকার সিলেট বিভাগ মোঃ মতিউর রহমান, পরিচালক এমসিএইচ ও লাইন ডিরেক্টর ডাঃ মোঃ শরিফ, সিভিল সার্জন ডাঃ সুচিন্ত চৌধুরী, উপ-সচিব স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ মোঃ মিজানুর রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ ফাহমিদা সুলতানা, রিজিওনাল কনসালটেন্ট ডাঃ উমর গুল আজাদ, উপ পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ নাসিমা খানম ইভা প্রমুখ। সহকারী পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা মীর সাজেদুর রহমানের পরিচালনায় কোরআন তেলাওাত করেন মোঃ আব্দুল মজিদ ও গীতা পাঠ করেন বিঞ্চুপদ রায়। অনুষ্ঠানে যুগ্ম সচিব মোঃ কুতুব উদ্দিন বলেন, হবিগঞ্জ জেলায় মা ও নবজাতকের মৃত্যার হার অনেক কমে এসেছে, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। উন্মুক্ত আলোচনাকালে নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন তাজ ও গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন এবং মহিলা ইউপি সদস্য অভিযোগ করেন যে, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা রুবি রাণী দে, উমা আচার্য্য এবং সাব এসিসটেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম সঠিকভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন না, চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন না, দিনের বেলা যেকোন এক সময় এসে সেন্টারে ১ থেকে দেড় ঘন্টা বসে চলে যান। এবিষয়ে সংসদ সদস্য এডভোকেট আবু জাহির বলেন, সঠিকভাবে দ্বায়িত্ব পালন করুন, সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়ে সরকারের টাকা অপচয় করবেন না। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যতধরণের সহযোগীতা প্রয়োজন সব ধরণের সহযোগীতা প্রদান করা হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, যেসকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র গভীর নলকুপ নেই সেই সকল সেন্টারে আগামী ১মাসের মধ্যে গভীর নলকুপ স্থাপন করা হবে।