,

কন্ঠশিল্পি জ্যোৎস্না তুমি কার ॥ কাজল না মুখলেছের

জুয়েল চৌধুরী ॥ অবশেষে বাউল শিল্পি কাজল মনিরের স্ত্রী জ্যোৎস্না আক্তার ও পরকিয়া প্রেমিক মুখলেছ মিয়ার প্রেমের নাটকের অবসান ঘটেছে। কন্ঠ শিল্পি জ্যোৎস্না কোন প্রেমিকের জিম্মায় না গিয়ে আদালত থেকে তার মায়ের জিম্মায় যায়। এ নিয়ে সর্বত্র রসালো আলোচনার ঝড় বইছে। একমাস ধরে কাজল, জ্যোৎস্না ও মুখলেছকে নিয়ে সারা জেলা জুড়ে জনমনে আলোচনা সমালোচনা চলছে যে মামলায় জ্যোৎস্না স্বামী কাজল না প্রেমিক মুখলেছের কাছে যাবে। শেষ পর্যন্ত গতকাল রবিবার দুপুরে আদালতে এ নাটকের সমাপ্তি হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, ১২ বছর আগে সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের নূর হোসেনের পুত্র জনপ্রিয় বাউল শিল্পি কাজল মনিরের সাথে ভালবাসার সূত্র ধরে বিয়ে হয় চুনারুঘাট পৌর এলাকার চন্দনা এলাকার আরজু মিয়ার কন্যা কন্ঠ শিল্পি জ্যোৎস্না আক্তারের। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে। স্বামী স্ত্রী দুজনেই গান বাজনা করে দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল। সংসারে কোন অভাব অনটন ছিলনা। একটি গানের অনুষ্ঠানে সুন্দরী জ্যোৎস্নার উপর নজর পড়ে নুরপুর এলাকার মুখলেছ মিয়া নামে এক ব্যক্তির। প্রথমেই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু জ্যোৎস্না এড়িয়ে গেলেও পরবর্তীতে বিত্তশালী মুখলেছের প্রেমে ধরা দেয় জ্যোৎস্না। তাদের মাঝে শুরু হয় প্রেমের লীলা খেলা। কাজল বিষয়টি আচ করতে পেরে তাদের মেলামেশায় বাধা হয়ে দাড়ায়। সম্প্রতি কাজল একটি মাদক মামলায় কারাগারে যায়। এই সুযোগে জ্যোৎস্নাকে নিয়ে মুখলেছ বিভিন্নস্থানে স্বামী স্ত্রী হিসেবে চলাফেরা শুরু করে। জেল থেকে বেরিয়ে এসে কাজল এর প্রতিবাদ করলে গত ১ আগস্ট নুরপুর এলাকায় কাজলের উপর হামলা চালায় এবং তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে একদল দূর্বৃত্ত। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে সুন্দরী স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে পাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। গতকাল জ্যোৎস্না তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে আদালতে হাজির হয়ে সে কাউকে চায়নি সে তার গর্ভধারিনি মায়ের জিম্মায় যেতে চায়। অবশেষে বিচারক জ্যোৎস্নাকে তার মায়ের জিম্মায় দেন এবং মামলার কার্যক্রম নিস্পত্তি করেন। জনপ্রিয় শিল্পি জ্যোৎস্না ও কাজলকে দেখার জন্য আদালত পাড়ায় উৎসুক জনতার ভির ছিল।


     এই বিভাগের আরো খবর